২৫ নভেম্বর ২০২০ বুধবার, ১২:২০ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার বিজনেস24.কম
করোনাকালে অর্থনীতিকে সচল রাখতে সরকারি যে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তার সুবিধা এবং সুফল পাচ্ছেন না চট্টগ্রামের অনেক ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং এর উদ্যোক্তারা। নানা অযুহাতে ঋণ দিচ্ছে না আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে অনেক উদ্যোক্তা বিপাকে পড়েছেন। গত মঙ্গলবার ২৪ নভেম্বর দুপুরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের আয়োজনে ‘ইমপ্রুভিং এক্সেস টু দ্যা স্টিমুলাস প্যাকেজ ফর মাইক্রো এন্ড স্মল এন্টারপ্রেনর ইন চট্টগ্রাম ডিভিশন’বিষয়ক এক ভাচুর্য়াল সেমিনার এসব কথা জানান নারী উদ্যোক্তারা।
অনলাইন এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, প্রিজম প্রকল্পের টিমলিডার আলী সাবেত। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এসডিসি। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের ডিজিএম শারাফাত উল্লাহ খান, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনাল মাহবুব এবং আবিদা মোস্তাফা, চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ডেপুটি কমিশনারের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিভাগের মহিলা চেম্বারের প্রতিনিধি এবং নারী উদ্যোক্তারা এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় নারী উদ্যোক্তারা জানান, তারা ব্যাংকে গিয়ে ঋণ পাচ্ছে না। আবার অনেকেই প্রণোদনার ঋণ সম্পর্কে জানে না। ব্যাংকের অসহযোগিতার কথাও জানান কেউ কেউ।
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের ডিজিএম শারাফাত উল্লাহ খান জানান, কোন ব্যাংক অসহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ বলেন, এ ঋণ যাদের জন্য তাদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত। এছাড়া নারীরা যাতে সহজে এ ঋণ পায় এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি আরো বাড়ানো উচিত।
প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ পরিস্থিতি আশানুরূপ না হওয়ায় তিন দফায় সময় বাড়িয়ে সিএমএসএমই খাতের জন্য সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।