facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ০৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার, ২০২৫

Walton

প্রতিশ্রুতি ও ছাড় কমেছে বৈদেশিক ঋণের


০৫ জানুয়ারি ২০২৫ রবিবার, ০৯:৩৩  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


প্রতিশ্রুতি ও ছাড় কমেছে বৈদেশিক ঋণের

রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমছে। এটা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ঋণের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি, একই সময়ে কমেছে অর্থ ছাড়ের পরিমাণও। বেড়েছে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইআরডির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সময়ে বিদেশি ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ৫২ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে (২০২৩-২০২৪) একই সময়ে ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল ৫৮৫ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। শতকরা হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে পাঁচ মাসে ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ শতাংশ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে পাঁচ মাসে অনুদানের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৭ কোটি ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৪ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই সময়ে অনুদানের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৮ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ৫৫৭ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার।

ইআরডি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়ে উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঋণ ছাড় করেছে চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে ১৫৪ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে যা ছিল ২১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে অর্থ ছাড় কমেছে ২৭ শতাংশ।

ঋণ প্রতিশ্রুতি ও ছাড় কমে গেলেও এই সময়ে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জুলাই-অক্টোবরে যেখানে ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছিল এক হাজার ৪৬৪ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার (এর মধ্যে মূল ঋণ পরিশোধে ব্যয় ৮৪৬ কোটি ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার এবং সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছিল ৬১৮ কোটি ১১ লাখ ডলার)। সেখানে চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৪২ কোটি ৬৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ২৫৯ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার এবং সুদ খাতে ব্যয় হয়েছে ৭৮২ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার।

ইআরডি সূত্র জানায়, জুলাই এবং আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে, ফলে বিতরণ কমেছে। অনেক বৈদেশিক ঋণ দ্বারা তহবিলপ্রাপ্ত প্রকল্প স্থগিত হয়ে গেছে, কারণ বিদেশি পরামর্শক এবং কর্মীরা অনুপস্থিত ছিলেন। সরকার বর্তমানে ঋণ প্রস্তাবগুলোর পর্যালোচনা করছে, যা নতুন ঋণ চুক্তির জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে। পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা করছে এবং তার লক্ষ্য পূরণের জন্য চেষ্টা করবে।তাছাড়া বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) উন্নয়ন অংশীদাররা বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এদিকে, বর্তমান সরকার বৈদেশিক অর্থায়নে প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো বন্ধ করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। ইআরডি সংস্থাগুলোকে বৈদেশিক ঋণ বরাদ্দের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলির একটি তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: