১২ ডিসেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ০৯:০১ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
প্রবাসী আয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক, যারা এনেছে ১০ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক (৯ কোটি ৯২ লাখ ডলার)। এছাড়া কৃষি ব্যাংক এনেছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ, সোনালী ব্যাংক ৩ কোটি ৭৯ লাখ এবং ন্যাশনাল ব্যাংক এনেছে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
ব্যাংকভিত্তিক আয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়:
গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। গত নভেম্বরে প্রবাসী আয় হয়েছিল ২২০ কোটি ডলার (২৬,৪০০ কোটি টাকা), যা আগের বছরের নভেম্বরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।
অক্টোবরে প্রবাসী আয় ছিল ২৩৯ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার এবং আগস্টে ২২২ কোটি ডলার। চলতি বছরের সর্বোচ্চ আয় এসেছিল জুন মাসে, যেখানে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২৫৪ কোটি ডলার।
প্রবাসী আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস। রপ্তানি আয়ের বিপরীতে আমদানি ব্যয় ও ঋণ পরিশোধে ডলারের প্রয়োজন হলেও প্রবাসী আয়ের বিপরীতে কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না। ফলে এ আয় ডলার সংকট মোকাবিলায় সরাসরি অবদান রাখে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৪ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ডলার সংকট কাটাতে আন্তব্যাংক লেনদেনের হার ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেন। এর ফলে ডলারের বিনিময় হার সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণের সুযোগ পেয়েছে ব্যাংকগুলো।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসী আয়ের এ ইতিবাচক ধারা বজায় থাকলে দেশের মুদ্রাবাজার আরও স্থিতিশীল হবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।