২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার, ০১:০০ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দল হঠাৎ প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখায় তদন্ত চালিয়ে দেখে, ভল্টে আগের দিনের ক্লোজিং ব্যালেন্সের তুলনায় ৬০ লাখ টাকা বেশি রয়েছে। বিষয়টি আরও সন্দেহজনক হয়ে ওঠে যখন সেখানে সাবেক চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবালের স্বাক্ষরিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যায়।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, কিছু অর্থ দেরিতে জমা পড়েছিল, যা নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল। তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা এখন সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সাবেক চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবাল ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ইতোমধ্যেই জব্দ করা হয়েছে। তারপরও কীভাবে তাদের সুবিধা দেওয়া হলো, তা এখন তদন্তের মূল বিষয়।
এইচবিএম ইকবাল দীর্ঘ ২৬ বছর প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যাংকের সুবিধা নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তার ছেলে ইমরান ইকবাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন, যা ব্যাংকের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিশ্চিত হতে চায়, এই অর্থ কোনো অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকের বাইরে স্থানান্তরের জন্য রাখা হয়নি।
এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা কঠোর ব্যবস্থা নেয় এবং সাবেক চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা কতটা গভীর তা তদন্তে বেরিয়ে আসে কি না।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।