০৯ জানুয়ারি ২০১৭ সোমবার, ০২:৩৬ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) স্পষ্টভাবে বা বড় অক্ষরে বা ছাপানো আকারে দিতে চিকিৎসকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। স্বাস্থ্যসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ‘ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁকিতে রোগীরা’ শিরোনামে এক প্রতিবেদ একটি জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২ জানুয়ারি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে দুই আইনজীবী রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত রুল দেন।
রোগীদের জন্য স্পষ্টভাবে ব্যবস্থাপত্র লেখায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ব্যবস্থাপত্র জেনেরিক নাম লেখার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সেক্রেটারিসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সার্কুলার জারির নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে জানাতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনের বিষয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, ব্যবস্থাপত্রে অস্পষ্ট লেখার কারণে জটিলতা তৈরি হয়। রোগীরাও বুঝতে পারেন না, ফার্মেসির বিক্রেতারাও বুজতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে ভুল ওষুধ দেওয়া হয়। ফলে রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। এ জন্য ব্যবস্থাপত্র স্পষ্ট করে এবং জেনেরিক নামে লেখা উচিত।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।