facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ০৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার, ২০২৫

Walton

ফের উত্তাল তিতুমীর কলেজ—সড়ক অবরোধে চরম ভোগান্তি


৩১ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার, ০৭:১১  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


ফের উত্তাল তিতুমীর কলেজ—সড়ক অবরোধে চরম ভোগান্তি

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজের প্রধান ফটকের সামনে বাঁশ ও বেঞ্চ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে আশপাশের সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় এবং সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। এতে মহাখালী থেকে গুলশান-১ এ যাওয়ার বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত চারটা পর্যন্ত চলা এ অবরোধের ফলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

শুক্রবারের বিক্ষোভ শুরু হয় জুমার নামাজের পর। শিক্ষার্থীরা কলেজের মূল ফটকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কলেজের সামনে এসে অবস্থান নেন। এরপর তারা সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।

সরকারের প্রতিশ্রুতি না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

আন্দোলনকারীদের দাবি, কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর সানি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের দাবির ব্যাপারে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। লিখিত ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অনশন ও অবরোধ চলবে।’

সড়ক অবরোধে জনদুর্ভোগ চরমে

শিক্ষার্থীদের এই সড়ক অবরোধের ফলে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে রোগীবাহী গাড়ি, কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার চালকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় আন্দোলনকারীদের। চালক আবদুল জলিল বারবার অনুরোধ করে বলেন, ‘আমার গাড়িতে অসুস্থ রোগী আছেন, দয়া করে যেতে দিন।’ কিন্তু অবরোধকারীরা প্রথমে তাকে ছাড়তে চাননি। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা হস্তক্ষেপ করলে গাড়িটি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

একইভাবে, রিকশায় আটকে পড়া এক যাত্রী সোনিয়া আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বাসা শাহজাদপুর, যাওয়ার এই একটিই রাস্তা। অনেক অনুরোধ করলাম, তবু যেতে দিল না। বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হলো।’

কেবল অ্যাম্বুলেন্সকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে

অবরোধ চলাকালে শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের বহনকারী যানবাহনকেই যাতায়াতের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে অন্যান্য যানবাহন আটকে থাকায় বহু মানুষকে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ ও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

আপনার মতামত জানান: আপনি কি মনে করেন তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা উচিত? কমেন্টে জানান!

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

শিক্ষা -এর সর্বশেষ