০৩ নভেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার, ০৭:০৪ পিএম
শেয়ার বিজনেস24.কম
তৃতীয় প্রান্তিকে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন বিক্রি থেকে আয় নতুন রেকর্ড ছুঁলেও রাজস্ব প্রবৃদ্ধির হার সম্ভবত অন্ধগলির প্রান্তে পৌঁছেছে।
বুধবার ফেসবুকের আয় বিবরণী প্রকাশের কনফারেন্সে প্রতিষ্ঠানের সিএফও ডেভিড ওয়েনার বিনিয়োগকারীদের ২০১৭ সালের মধ্যে ‘আগ্রাসী বিনিয়োগের’ লোভ দেখালেও বিজ্ঞাপন বিক্রির প্রবৃদ্ধি কমার বিষয়ও উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, ২০১৭ সালের মধ্যে বিজ্ঞাপনের রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হার উল্লেখযোগ্য পরিমান কমবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বর্তমান যে অবস্থায় আছে ফেসবুক তাতে অ্যাড লোড বৃদ্ধির হার কমবে বা সোজা কথায় বললে, ব্যবহারকারীদের সামনে বিজ্ঞাপন দেখানো বৃদ্ধির হার কমে যাবে।
সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ফেসবুকের রাজস্ব বেড়ে হয়েছে ৭শ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫৯ শতাংশ বেশি। এ হার বাড়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট। ফেসবুকের মোট রাজস্বের ৮৪ শতাংশই আসে মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকে।
তবে ফেসবুকের এই প্রবৃদ্ধি এখন নির্ভর করছে তারা ব্যবহারকারীর নিউজ ফিডে আরো কতো স্থান রাখতে পারে এবং সেখানে আরো কতো বেশি বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে তার উপর। এ কারণেই ফেসবুক এখন বিনিয়োগকারীদের বুঝাতে চেষ্টা করছে যে, তারা সম্ভবত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন সামর্থ্যের সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে।
এদিকে ওয়েনারের মন্তব্যের পর ফেসবুকের শেয়ার দরও কমে গেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে বুধবার তার মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর শেয়ারদর নেমে গেছে ৭ শতাংশ।
গত জুলাই মাসে আয় বিবরণী প্রকাশের সময় অ্যাড লোড বিক্রির প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে একই রকম মন্তব্য করেছিলেন ওয়েনার। তিনি তখন বলেছিলেন, আমাদের এখনকার রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে যেহেতু অ্যাড লোড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় সেহেতু আমাদের মনে হচ্ছে, যেভাবে প্রবৃদ্ধি চাচ্ছি তাতে এটি প্রভাব ফেলবে।
ফেসবুকের সরবরাকৃত তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় প্রান্তিক শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির মোট মাসিক ব্যবহারকারী ১৭৯ কোটি। একই সময়ে গত বছর ছিল ১৫৫ কোটি। যেখানে সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩২০ কোটি জন।
তবে ওয়াল স্ট্রিট বলছে, মোবাইলই হবে ফেসবুকের জন্য ‘অ্যাকিলিস হিল’। কারণ ওয়েবসাইটটি তৈরিই করা হয়েছিল ডেস্কটপের জন্য। কিন্তু এখন ফেসবুকের একশ কোটি ব্যবহারকারী আছে যারা শুধু মোবাইল ব্যবহার করে। এবং লাখ লাখ প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছাতে চায়।
ফেসবুকের এখনো সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো বর্তমান প্ল্যাটফর্মেই তারা কতো বেশি বিজ্ঞাপন স্থাপন ও প্রদর্শন করতে পারবে।
অবশ্য এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যেই অন্য অ্যাপসগুলোর ওপর জোর দিচ্ছে ফেসবুক। ইতিমধ্যে মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও ভাইবারকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে তারা। যেখানে শুধু ইনস্টাগ্রামেরই বর্তমান ব্যবহারকারী ৫০ কোটি।
সূত্র: সিএনএন
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।