২৪ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার, ১০:৪৮ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক তরুণীকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চার তরুণের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে মাঠে নিয়ে মারধরের সময় স্থানীয় এক কৃষক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনা ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে।
নির্যাতনের শিকার ১৯ বছর বয়সী তরুণী গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা। অভিযুক্ত চারজন ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী ইউনিয়নের বাসিন্দা—জাহাঙ্গীর আলম (২৪), শান্ত মিয়া (১৯), জীবন মিয়া (২২) ও মো. নাঈম মিয়া (১৯)।
তরুণীর সাথে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের পরিচয় প্রায় এক বছর আগে মুঠোফোনে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে গৌরীপুর পৌর শহরের পাট বাজার থেকে ডেকে নেয় জাহাঙ্গীর। এরপর চট্টি গ্রামের নির্জন একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য অনুযায়ী, ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন আরও তিনজন। চারজন মিলে সেখানে তাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে তাকে মাঠে নিয়ে মারধর করেন এবং বিকাশের মাধ্যমে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তরুণী জানান, তার পরিবার ফোন চালাতে জানে না বললে তাকে আরও নির্যাতন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় কৃষক জুয়েল মিয়া তার জমিতে সেচ দিতে গিয়ে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। জুয়েল জানান, টর্চের আলোতে তিনি চার তরুণ ও এক তরুণীকে দেখতে পান। মেয়েটি দৌড়ে তার কাছে এসে বাঁচার জন্য আকুতি জানায়। পরে চারজন পালিয়ে যায়।
জুয়েল বলেন, "যদি আমি না যেতাম, মেয়েটি হয়তো মেরে ফেলা হতো।" পরে তরুণীকে নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় এক বাড়িতে রাখা হয়।
ঘটনার পর থেকে চার তরুণই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। অভিযুক্ত নাঈমের বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার দাদি জানান, "আমার নাতি রাইত থাইকা বাড়িত নাই। এই কাজ অন্যদের সঙ্গে মিশে করেছে।"
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাটি জানার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তরুণীকে থানায় আনার পাশাপাশি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনার যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তরুণী এ ঘটনার ন্যায়বিচার চান এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।