facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১২ মার্চ বুধবার, ২০২৫

Walton

বরিশালের শিরোপা উৎসব: এবার নাজমুল-হৃদয়ের পালা


০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার, ১০:৫৫  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


বরিশালের শিরোপা উৎসব: এবার নাজমুল-হৃদয়ের পালা

বরিশালের গৌরবগাথা: মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর পর এবার নাজমুল-হৃদয়ের হাতে শিরোপা

ফাইনালের আগে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, সম্মানই তাদের দলের প্রধান শক্তি। আর বিপিএলে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার পর সেই কথারই প্রতিফলন দেখা গেল ট্রফি গ্রহণের মুহূর্তে।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার হাত থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নেওয়ার সময় তামিম নিজে সামনে না গিয়ে এগিয়ে দিলেন নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয় ও রিশাদ হোসেনকে। এই সম্মানের মুহূর্তটাকে তাদের জন্য বিশেষ করে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি।

নতুনদের হাতে প্রথম স্বপ্নের ট্রফি

গতবার বরিশাল শিরোপা জেতার পর একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, যখন তামিম মঞ্চে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে। এবার নাজমুল ও হৃদয়ের ক্ষেত্রে সেটাই করলেন তিনি। তাদের দুজনের জন্যই এটি ছিল প্রথম বিপিএল শিরোপা। তিনবার ফাইনালে ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেলেন তারা।

ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, `আমি দুবার ট্রফি জিতেছি। হৃদয় ও নাজমুলের জন্য এটা অনেক বেশি মূল্যবান। রিশাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই আমার মনে হয়েছে, এই সম্মানটা তাদের প্রাপ্য।`

একাদশের বাইরে থেকেও দলের প্রতি নিবেদন

এবারের বিপিএলে নাজমুল খুব একটা ভালো করতে পারেননি। ৫ ম্যাচে মাত্র ৫৬ রান করে ফাইনালসহ শেষ ৮ ম্যাচে একাদশের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে দলের প্রতি তার নিবেদন অসামান্য ছিল বলে জানান তামিম। `জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েও একাদশের বাইরে থাকা সহজ নয়। তবে নাজমুল কখনো নেতিবাচক মনোভাব দেখায়নি, বরং দলের প্রতি তার সমর্থন ছিল দুর্দান্ত।`

প্রথম শিরোপার অনুভূতি অন্যরকম

টানা দুইবার বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করা সত্ত্বেও প্রথম শিরোপার অনুভূতি ছিল তামিমের কাছে আলাদা। `গতবারের যাত্রাটা ছিল এপিক! আমরা প্রায় বাদ পড়তে বসেছিলাম, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ট্রফি জিতেছি। সেটি আমার হৃদয়ের সবচেয়ে কাছের স্মৃতি।`

বরিশালের রেকর্ড গড়া জয়

বরিশাল এবার গোটা টুর্নামেন্ট দাপট দেখিয়ে খেলেছে। ১২ ম্যাচে ৯ জয়ের পর কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে ওঠে। ফাইনালে চিটাগংয়ের ১৯৪ রানের লক্ষ্য তারা তিন উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায়।

গ্যালারিজুড়ে বরিশালের উচ্ছ্বাস

ফাইনালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম যেন হয়ে উঠেছিল বরিশালের দুর্গ! পুরো গ্যালারিজুড়ে লাল জার্সির ঢেউ, ‘বরিশাল, বরিশাল’ স্লোগানে মুখরিত ছিল স্টেডিয়াম। আর সেই চিৎকারের জবাব মাঠেও দিয়েছেন বরিশালের ক্রিকেটাররা।

অন্যদিকে, চিটাগং কিংসের জন্য আবারও হতাশার রাত। ২০১৩ সালে ফাইনালে হারা দলটি আরও একবার চূড়ান্ত মুহূর্তে এসে ব্যর্থ হলো।

শুরুটা দুর্দান্ত, কিন্তু শেষটা হতাশার

চিটাগং কিংস ইনিংসের প্রথম ৫ ওভারে ৫১ রান তুলে দুর্দান্ত সূচনা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০০ রান স্পর্শ করতে পারেনি তারা। ১১তম ওভারে ১০০ রান পার করলেও, পরের ওভারগুলোতে রানের গতি কমে যায়।

খাজা নাফে ৩৭ বলে ফিফটি করেন, আর পারভেজ হোসেন ৩০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি।

ফাইনালে যোগ্য চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

চিটাগংকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ফরচুন বরিশাল প্রমাণ করল, তারা সত্যিই এবারের সেরা দল। মাঠে আধিপত্য, স্টেডিয়ামে সমর্থকদের উন্মাদনা এবং নেতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত—সব মিলিয়ে বরিশালের এবারের বিপিএল জয় ইতিহাস হয়ে রইল।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: