১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ শুক্রবার, ১২:৪৪ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
বিটিটিসির সুপারিশের পেছনের কারণ:
দেশের বার্ষিক ভোজ্যতেলের চাহিদা ২২–২৩ লাখ টন। এর প্রায় ২৫–৩০ শতাংশ পূরণ সম্ভব কুড়ার তেল দিয়ে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় এবং আসন্ন রমজানের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কুড়ার তেল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
টিসিবির ভূমিকা ও সমস্যার উৎস:
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে তেল সরবরাহ করে। কিন্তু কুড়ার তেল রপ্তানিতে বেশি লাভের কারণে মিলগুলো টিসিবির চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দিতে অনাগ্রহী।
সংকটের অন্য দিক:
বাংলাদেশ ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, কুড়ার তেল রপ্তানির কারণে পোল্ট্রি ও মাছের ফিডের কাঁচামাল সংকট দেখা দিচ্ছে। তাই রপ্তানি বন্ধ করলে ফিড শিল্প উপকৃত হবে।
চলমান রপ্তানির চিত্র:
২০২২-২৩ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭ হাজার ২৮৯ টন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভোমরা ও হিলি বন্দর দিয়ে ৬৪ হাজার ১৯ টন অপরিশোধিত কুড়ার তেল রপ্তানি হয়েছে।
উৎপাদন সক্ষমতা:
বাংলাদেশে ২০টি রাইস ব্র্যান অয়েল মিল রয়েছে, যাদের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন।
ট্যারিফ কমিশন মনে করছে, দ্রুত এই সুপারিশ কার্যকর করা হলে স্থানীয় ভোজ্যতেল বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে এবং দামও স্বাভাবিক থাকবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।