০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ শুক্রবার, ১২:১৮ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
ক্রেতাদের ভোগান্তি
শুধু শেওড়াপাড়া নয়, রাজধানীর অন্যান্য বাজারেও একই চিত্র। বেশিরভাগ দোকানেই বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। যেগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো নির্ধারিত দামের চেয়ে ১০-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা এক লিটারের বোতল না পেয়ে বাধ্য হয়ে দুই বা পাঁচ লিটারের বোতল কিনতে হচ্ছে।
বিক্রেতাদের অভিযোগ ও সরবরাহকারীদের ভূমিকা
বিক্রেতারা জানান, ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে বোতলজাত তেল সরবরাহ করছে না। ফলে তারা ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। পরিবেশকদের বারবার অনুরোধ করেও তেল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন খুচরা বিক্রেতারা।
সরকার শুল্ক-কর কমালেও বাজারে তেলের সংকট কাটেনি। গতকাল এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) আয়োজিত বৈঠকে পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, আসন্ন রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় তেল আমদানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববাজারের দামের সঙ্গে সংগতি রেখে দেশের বাজারেও মূল্য সমন্বয় প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তারা।
ট্যারিফ কমিশনের উদ্যোগ
বৈঠকের পর ট্যারিফ কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটি দ্রুত বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভোজ্যতেলের দাম ও সরবরাহ সংকট নিরসনে সুপারিশ দেবে।
অন্যদিকে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৬০-৭০ টাকা, শিম ৬০-১০০ টাকা এবং টমেটো ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামও কমে ৮০-১০০ টাকায় নেমে এসেছে।
তবে নতুন আলুর সরবরাহ না বাড়ায় পুরোনো আলু ৭৫-৮০ টাকা এবং আমদানিকৃত নতুন আলু ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংক্ষেপে
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট ও দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের দ্রুত উদ্যোগ প্রয়োজন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।