facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

বাড়তি প্রণোদনায় বাড়ছে রেমিট্যান্স


২৯ অক্টোবর ২০২৩ রবিবার, ০৫:০০  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


বাড়তি প্রণোদনায় বাড়ছে রেমিট্যান্স

বাড়তি প্রণোদনায় ডলারের দাম বেশি পাওয়ায় বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যালেনে বাড়ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। চলতি অক্টোবরের ২৭ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৬৫ কোটি ডলার। যা আগের মাস সেপ্টেম্বরের পুরো মাসের চেয়ে বেশি। রোববার (২৯ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের এ তথ্য পাওয়া গেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটা‌তে লোকসান দি‌য়ে বেশি দামে ডলার কিনতে পারছে ব্যাংকগু‌লো। প্রবাসী আয়ে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে ব্যাংকগুলো বাড়তি ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারছে। এখন বৈধ পথে দেশে রে‌মিট্যা‌ন্স আসছে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা মিলছে। ফলে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে এখন পাওয়া যাচ্ছে ১১৬ টাকার মতো। আগে যেখানে প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারে মিলতো সর্বোচ্চ ১১১ টাকা। যার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৪ কোটি ৯৩ লাখ মার্কিন ডলার। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দীর্ঘ মেয়াদি সুফল আসবে না জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং- সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, সরকারের আড়াই শতাংশের সঙ্গে আরও বাড়তি আড়াই শতাংশ ডলার রেট বেশি দেবে সবমিলিয়ে রেমিট্যান্সে ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবে- এ ধরনের পদক্ষেপ সাময়িক সময়ের জন্য রেমিট্যান্স বাড়াবে তবে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না।

ড. সেলিম রায়হান জানান, রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। আর হুন্ডি বন্ধ করতে হলে অর্থপাচার বন্ধ করতে হবে। এখন প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে এটা যেকোনো উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তিনি জানান, ব্যাংকগুলো যত বেশি প্রণোদনা দেবে হুন্ডির লোকজন তার চেয়ে বেশি প্রণোদনা দেবে। তাই হুন্ডি যত পর্যন্ত রমরমা থাকবে তত পর্যন্ত বৈধ পথে আশানুরূপ রেমিট্যান্স আসবে না।

এদিকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। ডলার সংকটের কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ে বড় হোঁচট খায়। ওই মাসে গত সাড়ে ৩ বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসে বাংলাদেশে, যা পরিমাণে ১৩৪ কোটি ডলার। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।

বর্তমানে প্রবাসীদের আয়ে ব্যাংকে এক মার্কিন ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এর ওপর সরকার আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়। এখন এক ডলারে পা‌চ্ছে ১৩ টাকা ২৬ পয়সার কিছু বেশি। এখন এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো দেবে আরও ২.৫ শতাংশ বাড়‌তি দাম। ফলে রে‌মিট্যা‌ন্সের এক ডলারে ১১৬ টাকার কিছু বেশি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: