০২ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার, ০১:৪০ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহান ওমর বলেছেন, ‘বরিশাল, ঝালকাঠি, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া—এ অঞ্চল আমি বিএনপির দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উপলব্ধ করেছেন। তিনি কানে কানে বলেছেন, এখন এইটা আওয়ামী লীগের দুর্গ গড়ে দেন। আমি করব…। এ অঞ্চলে আর নৌকার বাইরে কেউ এমপি হতে পারবে না। আমি কবরে গেলেও বলব, ওরে মাইনার দল তাড়াতাড়ি নৌকায় ভোট দে।’
সোমবার বিকেলে লেবুবুনিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন সম্প্রতি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শাহজাহান ওমর।
নৌকার এই প্রার্থী বলেন, ‘আপনারা এক দিন নৌকায় সিল মারুন, আমি আগামী ৫ বছর আপনাদের সেবা দেব। আমি আপনাদের সেবক হতে চাই।’
শাহজাহান ওমর আরও বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা যড়যন্ত্র চলছে। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি সবাইকে কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিতে হবে। কেন্দ্রে বসে সিল মারা যাবে না। কারণ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষণ থাকবে। সিল মারলে তারা ছবি তুলে ছড়িয়ে দেবে। তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।’
সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই পথসভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির উপজেলা শাখার সভাপতি খায়রুল আলম সরফরাজ। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোবাহান খান।
এর আগে গতকাল রবিবার এক নির্বাচনী পথসভায় শাহজাহান ওমর বলেন, ‘এবারের নির্বাচনকে হালকা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। এবারের নির্বাচন কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। আপনারা কি আগামী পাঁচ বছর শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান? ওনাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইলে তার ১৫১টা এমপি দরকার। নির্বাচন দুই প্রকারের, অন্তর্ভুক্তিমূলক (সব দল মিলে করা) ও প্রতিযোগিতামূলক। এখানে যেহেতু বড় কয়েকটি দল নেই, এখানে যদি আমরা ৬০-৭০-৮০ ভাগ ভোট না দেখাতে না পারি, তাহলে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার দেশে-বিদেশে অনেক শত্রু আছে, তারা চায় না তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব করুক।’
তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা সঠিকভাবে ভোট সিক্সটির (৬০ শতাংশের) ওপরে না দিতে পারেন, তখন তারা বলবে, “এই ভোট হয় নাই, এই ভোটকে আমরা বৈধতা দেই না।”… তারা প্রচার করবে “এই নির্বাচন হয় নাই।” ওরা আমাদের দেশে অর্থনৈতিক স্যাংশন দেবে, ভিসা স্যাংশন দেবে, গার্মেন্টেসে স্যাংশন দেবে, ম্যানপাওয়ারে স্যাংশন দেবে—নানা চেষ্টা করবে। আর যদি অন্য শরিক দল নাও আসে, আর আপনারা স্বতস্ফূর্তভাবে ৬০ থেকে ৭০-৮০ ভাগ ভোট দিয়ে যান, তাহলে নেত্রীর মুখটা বড় করবেন। তিনি বলতে পারবেন, “আমি তো কারও জোর করে ভোট আনি নাই। আমি তো মরা মানুষের ভোট দেই নাই। আমি তো কেন্দ্রে সিল ঠেকাই নাই। জনগণ কেন আসছে? পার্টি আসে না অন্য জিনিস। জনগণ তো ভোটের পক্ষে ছিলেন। নাকি ছিলেন না?” এই জন্য আপনাদের ৬০-৭০-৮০ ভাগ ভোট দিতে হবে।’
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।