facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার, ২০২৪

Walton

বিএসইসির কঠিন সিদ্ধান্তসহ পুঁজিবাজারের ১১ খবর


২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ বুধবার, ০৯:৩৭  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


বিএসইসির কঠিন সিদ্ধান্তসহ পুঁজিবাজারের ১১ খবর

যে কারণে তিন ব্রোকারেজ হাউজের অনিয়মের খোঁজে বিএসইসি

ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য তিনটি ব্রোকারেজহাউজের কার্যক্রমে অসঙ্গতি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্রোকারেজ হাউসগুলোর নাম হলো- পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ‌্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বিএসইসির জারি করা আদেশ সংশ্লিষ্ট এই তিন ব্রোকারেজ হাউজের ব‌্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।

আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করা প্রয়োজন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ আইন- ২০২০ এর বিধি ১৭ এবং সিকিউরিটিজ অ‌্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১৫ ও ১৬-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন ৩ কর্মকর্তাকে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কার্যক্রম তদন্ত করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মতিউর রহমান এবং সহকারী পরিচালক মো. সাগর ইসলাম। পরিদর্শক কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিন ব্রোকারেজ হাউজের মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, প্রকৃত নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ, প্রভিশনস, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অনুমতিবিহীন লেনদেন ও এর কারণ এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ কেন বাড়ছে ও এর জন্য কারা দায়ী?

ব্রোকারেজ হাউজগুলো কেন আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশনস বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে? ব্রোকারেজ হাউজগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করছে?

২০১৬ সাল থেকে একাধিকবার সময় চেয়েও ব্রোকাররেজ হাউজগুলো কেন আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশনস বজায় রাখতে ব্যার্থ হচ্ছে?

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক সমস্যা থাকেলে, সেটাও চিহ্নিত করবে তদন্ত কমিটি।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিগত হাসিনা সরকারের বহুমুখী আর্থিক অনিয়মে জর্জরিত পুঁজিবাজরের সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিগত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে ১৮ আগস্ট গঠিত খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

এর ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেতিবাচক ইক্যুইটি কেন বাড়ছে ও এর জন‌্য কারা দায়ী, নেতিবাচক ইক্যুইটির পরিমাণ, প্রভিশনস বা মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে রক্ষিত তহবিল, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ব্রোকারেজ হাউজগুলো কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। তদন্ত প্রতিবেদনে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে

চলতি ২০২৪ বছরে দেশের পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। বছরজুড়ে আইপিওর মাধ্যমে চারটি এবং কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে দুটি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছে। এছাড়া, মধ্যে মাত্র দুটি ব্যাংক বন্ড ছেড়ে মূলধন সংগ্রহ করেছে। চলতি বছর পুঁজিবাজার থেকে মোট ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে।

এরআগের বছর ২০২৩ সালে শেয়ারবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ৩টি, কিউআইওর মাধ্যমে ৩টি, মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ‌্যমে একটি ও ৪টি বন্ড ইস্যু করে মোট ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছিল। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে পুঁজিবাজার থেকে ৪৬৭ কোটি টাকার কম মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) চলতি বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, চলতি বছরে শেয়ারবাজার থেকে আইপিওর মাধ‌্যমে মূলধন সংগ্রহ করা কোম্পানিগুলোর মধ‌্যে এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড ১০০ কোটি টাকা, বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড লিমিটেড ৩৫০ কোটি টাকা, এশিয়াটিক ল‌্যাবরেটরিজ লিমিটেড ৯৫ কোটি টাকা এবং টেকনো ড্রাগস লিমিটেড ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

এছাড়া শেয়ারবাজার থেকে কিউআইওর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করা কোম্পানিগুলোর মধ‌্যে- ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড ৫ কোটি টাকা এবং ওয়েব কোটস পিএলসি ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। আর সাউথইস্ট ব্যাংক ফাস্ট পারপেচুয়াল বন্ড ৪৫০ কোটি এবং ইউসিবি সেকেন্ড পারপেচুয়াল বন্ড ২৭০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কয়েক বছর ধরে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির আইপিও, কিউআইও ও মিউচুয়াল ফান্ড অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উল্লেখযোগ্য কোনো কোম্পানি আইপিও বা কিউআইওতে আসেনি। বরং, অন‌্যান‌্য বছরের তুলনায় এ বছর পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, পুঁজিবাজারে গভীরতা বাড়াতে নতুন নতুন ভালো কোম্পানি আনতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীরা ইচ্ছামতো ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারেন। ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে পুঁজিবাজারের ভিত্তি আরো শক্তিশালী হবে এবং গভীরতা আরো বাড়বে।

এদিকে সম্প্রতি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করতে চাওয়া আবাসন খাতের কোম্পানি বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের আবেদন বাতিল করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)।

এছাড়াও ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করতে চাওয়া বস্ত্র খাতের কোম্পানি বি ব্রাদার্স গার্মেন্টস লিমিটেড এবং ১৫ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করতে চাওয়া বিমা খাতের কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের আবেদন বাতিল করেছে কমিশন।

চলতি বছরের অক্টোবরে পুঁজিবাজারে খাদ‌্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেমিনি সি ফুডের ১২৮ কোটি টাকার রাইট শেয়ারের আবেদন বাতিল করেছে বিএসইসি। কোম্পানিটি ২ (আর):১ হারে রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চেয়েছিল। অর্থাৎ বিদ্যমান প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চেয়েছিল। প্রতিটি রাইট শেয়ারের অফার মূল্য ছিল ফেসভ‌্যালু ১০ টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত ৫০ টাকা প্রিমিয়ামসহ মোট ৬০ টাকা। কোম্পানিটি ২ কোটি ১৩ লাখ রাইট শেয়ার ছাড়তে চেয়েছিল।

তবে বিএসইসির পাইপলাইনে আইপিও, কিউআইও ও রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে আরো কিছু কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অপেক্ষায় আছে বলে জানা গেছে।

এবার সুখবর বিএটিবিসির বিনিয়োগে

নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ)। কোম্পানিটি তার কারখানায় আরও ২৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে। উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই বিনিয়োগ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

নিজস্ব তহবিল থেকে আলোচিত বিনিয়োগের অর্থ যোগান দেওয়া হবে।

জানা গেছে, আলোচিত বিনিয়োগের ফলে কোম্পানির উৎপাদনক্ষমতা ও উৎপানশীলতা বর্তমানের চেয়ে বাড়বে। তবে এই উৎপাদনক্ষমতা কতটা বাড়বে, তার ফলে কোম্পানির মোট পণ্য বিক্রি ও মুনাফায় কী প্রভাব পড়বে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি।

সিমটেক্সের সাবেক এমডি সিদ্দিকসহ ৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মাহফুজা রহমান বেবিসহ তিন আত্মীয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য দুই জন হচ্ছেন সিদ্দিকের বড় ভাই ও ইনসান আলী শেখ এবং সিদ্দিকের স্ত্রীর বড়বোন হাফিজা খানম। তারা দুই জনই সিমটেক্সের পরিচালক ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজা রহমান বেবি এক সময় কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আরও তিন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এরা হচ্ছেন- ক্রস রোড করপোরেশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অমল কৃষ্ণ দাস, মশিউর রহমান ও সাব্বির আহমেদ।

আলোচিত সাত ব্যক্তির নামে থাকা ৩১টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। যে সাত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা সবাই এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও আর্থিক খাতের বড় লুটেরা পি কে হালদারের সহযোগী ছিলেন।

জানা গেছে, দুদকের আবেদনে বলা হয়, পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশন লিমিটেড অর্থ পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তকালে জানা যায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ক্রসরোড করপোরেশন লিমিটেডকে ৬০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ক্রস রোড করপোরেশন লিমিটেডের পরিচালক অমল কৃষ্ণ দাস মশিউর রহমান ও সাব্বির আহমেদ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত।

অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সিমটেক্স টেক্সটাইল লিমিটেডকে ১২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, মাহফুজা রহমান বেবী, ইনসান আলী শেখ ও হাফিজা খানম পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে এই ঋণ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।

দুদকের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আত্মসাৎ করা ও পাচার করা অর্থ উদ্ধার এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকা ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। অভিযুক্ত এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ না করলে আত্মসাৎ করা অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হবে না এবং অভিযোগ অনুসন্ধান প্রক্রিয়াও সম্ভব হবে না।

ফু-ওয়াং সিরামিকের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ওয়াসো ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড। দীর্ঘমেয়াদী ‘এ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-৩’ রেটিং করেছে।

কোম্পানিটির ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

কাট্টালি টেক্সটাইলে কোম্পানি সচিব নিয়োগ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডে নতুন কোম্পানি সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. ফজলুল হক। সম্প্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাকে কোম্পানি সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ম্যারিকো

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের কাছে অন্তবর্তী নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পনিটি অন্তবর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।

গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে পর্ষদ সদস্যরা চলতি বছরের সমাপ্ত ৩০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) নিরীক্ষতি আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করেন। আর তার ভিত্তিতেই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ৪৫০ শতাংশ বা ৪৫ টাকা করে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কাট্টালি টেক্সটাইলের লভ্যাংশ বিতরণ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরে জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাববছরের নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের পাঠিয়েছে।

গত ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিলো।

বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে দুই প্রতিষ্ঠান

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই প্রতিষ্ঠান রেকর্ড ডেটের আগে আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এআইবিএল মুদারাবা পারপেচুয়াল বন্ড এবং এসজেআইবিএল মুদারাবা পারপেচুয়াল বন্ড।

প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার স্পট মার্কেট লেনদেন শেষ হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। এদিন প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন স্থগিত থাকবে।

দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেডে এবং এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডে।

বিডি ল্যাম্পসের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএ-’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-২ রেটিং হয়েছে। কোম্পানিটির ৩০ জুন , ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আনুষাঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

এছাড়া, এমজেএল বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে। কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্য অনুযায়ী এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

লিবরা ইনফিউশনকে সহযোগিতার নির্দেশ

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সাথে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত লিবরা ইনফিউশনস লিমিটেডের চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানিটিকে সব ধররণের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য রুল জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বোচ্চ আদালতের জারিকৃত এ নির্দেশের ফলে লিবরা ইনফিউশনের চলতি মূল্ধনের আর কোন ঘাটতি থাকবে না। ফলে পুর্ণ মাত্রায় উৎপাদনে আর কোন বাধা রইলো না কোম্পানিটির।

 

 

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: