১০ মার্চ ২০২৫ সোমবার, ১১:২২ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
মো. মাহবুবুল আলম |
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মো. মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিএসইসিতে কর্মরত থাকা মাহবুবুল আলম সোমবার (১০ মার্চ) অফিস করে নিজের পদত্যাগপত্র বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ৫ মার্চ বিএসইসি চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগে মাহবুবুল আলমসহ একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ৬ মার্চ রাতে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৯ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন মাহবুবুল আলম। সোমবার (১০ মার্চ) অফিস শেষে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এ বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, "আমি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছি। সোমবার অফিস করেছি। সার্বিক দিক বিবেচনা করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আজই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।"
বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যানের করা মামলায় সোমবার (১০ মার্চ) ৬ জন এবং রবিবার (৯ মার্চ) ৭ জন কর্মকর্তা জামিন পেয়েছেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা এই জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন- নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম (৫৭) ও রেজাউল করিম (৫৪), যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫) ও শহিদুল ইসলাম (৪২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), রায়হান কবীর (৩০), আব্দুল বাতেন (৩২), সাজ্জাদ হোসেন (৩০), ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ (২৯) এবং উপ-পরিচালক আল ইসলাম (৩৮)।
তবে মামলার আরও তিন আসামি—বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা এবং উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম এখনও জামিন নেননি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ মার্চ বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেন সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন, সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এতে মারাত্মক অরাজকতা সৃষ্টি হয় এবং কমিশনের কর্মকর্তাদের গুরুতর জখমের চেষ্টা করা হয়।
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে যখন কমিশনের নির্ধারিত সভা চলছিল, তখন অভিযুক্তরা জোরপূর্বক সভাকক্ষে ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেন।
বিএসইসির সাম্প্রতিক এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দেশের পুঁজিবাজারের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।