facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৫

Walton

বিকাশ পেমেন্টে জমজমাট কেনাকাটা


২৭ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার, ০১:১৮  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


বিকাশ পেমেন্টে জমজমাট কেনাকাটা

উৎসবের কেনাকাটা মানেই বিকাশ পেমেন্ট। কয়েক বছর ধরে সারাদেশের মানুষের উৎসবের কেনাকাটার সঙ্গী হয়ে উঠেছে বিকাশ। এবার স্টেডিয়ামে বসে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, জুলিয়ান আলভারেজ, এমি মার্টিনেজদের নিয়ে গড়া বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের খেলা সরাসরি দেখার সুযোগের কারণে বিকাশ পেমেন্ট পেয়েছে নতুন মাত্রা।

গত ৮ জুন ২০২৩ থেকে শুরু হয়ে ২৮ জুন পর্যন্ত চলা ঈদের কেনাকাটায় সর্বোচ্চ পেমেন্ট করে এ সুযোগ নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা। তিন সপ্তাহব্যাপী চলা ক্যাম্পেইনে প্রতি সপ্তাহে ৭ জন করে মোট ২১ জন সর্বোচ্চ পেমেন্টকারী পাবেন আর্জেন্টিনায় গিয়ে মেসিদের খেলা দেখার সুযোগ। সৌভাগ্যবান বিজয়ীদের বিমান টিকিট, হোটেলে থাকার খরচ বিকাশের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। খেলার তারিখ, প্রতিপক্ষ, ভেন্যুসহ বিস্তারিত তথ্য পরে বিজয়ীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। ক্যাম্পেইন চলাকালে একজন গ্রাহক একবারই বিজয়ী হতে পারবেন।

আর্জেন্টিনার খেলা দেখার সুযোগ ছাড়াও প্রতি ঘণ্টায় ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন গ্রাহক। ক্যাম্পেইন চলাকালে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ পেমেন্টকারী পাচ্ছেন ১ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক।

সারাদেশের মানুষের অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্টে সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা বিকাশ। ঈদের কেনাকাটা থেকে শুরু করে ঘরে বসেই নিজের পছন্দের সারা বছরের কেনাকাটা করতে বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহার করেন শহর কিংবা গ্রাম, সব এলাকার গ্রাহক। অনলাইন কেনাকাটার আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় বিকাশ পেমেন্ট। আর ঈদের কেনাকাটার ক্যাশব্যাক গ্রাহকের কাছে বাড়তি আকর্ষণ। অনলাইন কিংবা অফলাইন, ব্র্যান্ডের দোকানসহ ছোট-বড় দোকান থেকে পছন্দের জামা, জুতা, অন্যান্য আনুষঙ্গিক পণ্য কিনে ডিজিটাল পেমেন্ট করছেন অসংখ্য ক্রেতা, সঙ্গে উপভোগ করছেন ক্যাশব্যাক।

বিকাশ পেমেন্টে জীবন এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। অনলাইন কিংবা শপিংমলে গিয়ে কেনাকাটায় ক্যাশ টাকা নিয়ে ঘুরতে হয় না, নেই ভাঙতির ঝামেলা। সহজেই হাতের মুঠোয় থাকা বিকাশে পেমেন্ট করে কেনাকাটা করা যায়। শুধু উৎসবের সময়ই নয়, সারা বছরই এখন বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটা করা যায় এবং ক্যাশব্যাকও পাওয়া যায়।

ডিজিটাল কেনাকাটায় অভ্যস্ত ধানমন্ডির বাসিন্দা রহমত ইসলাম বলেন, ‘আমি ডিজিটাল পেমেন্টে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। অনলাইনে পণ্য কেনা থেকে শুরু করে সরাসরি কেনাকাটা, রাইড শেয়ারের পেমেন্ট, নিত্যপণ্য কিনে পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল দেওয়া, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে প্যাকেজ কেনাসহ অনেক কিছুর পেমেন্ট করি বিকাশে।’

ডিজিটাল কেনাকাটায় শুধু গ্রাহকরাই স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন তা নয়, স্বস্তি মিলছে বিক্রেতাদেরও। কোনো রকম খুচরা বা ভাঙতির ঝামেলা ছাড়াই পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারছেন নিমিষেই, যা তাঁদের ব্যবসায়িক লেনদেনকে সহজ করে দিয়েছে।

দেশীয় একটি ফ্যাশন হাউসের মার্চেন্ট সুমাইয়া রহমান বলেন, ‘ব্যবসার কাজে দ্বিমুখী লেনদেনে বিকাশ ব্যবহার করা যায়। পাইকারদের কাছ থেকে পণ্য কিনে তাঁদের বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে পেমেন্ট নেওয়া– উভয় ক্ষেত্রেই বিকাশ ব্যবসাকে সহজ করে দিচ্ছে। মানুষ এখন অনেক বেশি ডিজিটাল পেমেন্টে অভ্যস্ত হচ্ছেন, কিউআর কোড স্ক্যান করে তাঁরা সহজে পেমেন্ট করে ফেলছেন মুহূর্তেই। এটি সময়সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং ভাঙতি টাকার কোনো ঝামেলা নেই।’

বর্তমানে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ ছোটবড় বিকাশ মার্চেন্ট পয়েন্ট রয়েছে, যেখানে ক্রেতারা বিকাশ অ্যাপ, ইউএসএসডি কোড *২৪৭# ডায়াল করে বা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার দাম পরিশোধ করতে পারেন। দোকানগুলোতে খুচরা টাকার ঝামেলা এড়িয়ে ছোট থেকে বড়, যে কোনো অঙ্কের কেনাকাটার পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশ দিয়ে। কেবল পণ্য কেনাকাটা নয়, রাইড শেয়ারিং সেবা, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, বিমানের টিকিট কেনার ক্ষেত্রেও ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিকাশ পেমেন্ট।

অনলাইনে খাবার অর্ডার করে বা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে গিয়েও ডিজিটাল পেমেন্টের অভ্যস্ততা বাড়ছে। কিউআর কোড স্ক্যান করে বা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই খাবারের দাম দেওয়ার সুযোগ থাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গ্রাহকের মাঝে বিকাশ পেমেন্টের অভ্যস্ততা তৈরি হচ্ছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

কর্পোরেট -এর সর্বশেষ