০৭ মার্চ ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ০৫:৩৩ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
বিদেশিদের স্বার্থ সুগম পথ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ সরকারের নাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে ‘৭ই মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারকে উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গালাগালি করে কোনো লাভ নেই। কারণ আপনাদের ক্ষমতায় থাকতে হলে আর স্বশরীরে বেঁচে থাকতে হলে বিদেশিদের এই স্বার্থ, সেটা চরিতার্থ করার সুগম পথ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নাই। তার বিকল্প পথ নাই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা অনায়াসে বলতে বলতে পারবো, ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফলে শেখ হাসিনা ৯ পার্সেন্টের প্রধানমন্ত্রী। আর আমরা ৯৩ পার্সেন্টের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। সুতরাং আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলতে পারবো না। আমরা সংখ্যায় এদেশের মালিকানা দাবি করতে পারি। এজন্য দেশের মালিকা আমরা। ওরা (আওয়ামী লীগ) না।
গয়েশ্বর বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে আছি। আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি না, এগিয়ে যাচ্ছি। হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের পাশ থেকে অনেক নেতাকর্মী। অনেকে গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। অনেকে না ফেরার দেশে চলে গেছে। তাদেরকে ফেরত পাবো না। তারপরেও আমাদের যে চলার গতি, যে গণতন্ত্র উদ্ধারের যে গতি, সেই গতি থেমে নাই। এটাই সংগ্রাম।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সম্পদ আছে। এদেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই আজকে বাংলাদেশের প্রতি যারা গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা এদেশের মানুষকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। গণতান্ত্রিক বিশ্ব অনেক কথা বলেছেন, শুনেছি। গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে আমি ভারতকে বাদ দিতে পারি না। কারণ তাদের ৭২ বছর যাবৎ গণতন্ত্রের পদযাত্রা আছে। তাদের নিজের দেশে গণতন্ত্র থাকলেও অন্যের দেশে গণতন্ত্র থাকুক, সেটা তিনি পছন্দ করে না। আমাদের আশেপাশের দেশগুলো নিয়ে এই গণতন্ত্রের ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশে সার্বভৌমত্ব থাকবেই কেন, আমাদের সেনা ঘাঁটিতে যদি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিস নিয়মিত করা যায়, আসা যায় এবং যাওয়া যায় তাহলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা থাকবে, এটা ভাবা আর ‘বোকার স্বর্গে বাস করা এক কথা না’? আমি বিদেশিদের যে জায়গা দেই, দূতাবাস করার জন্য। কিন্তু কোন দেশে কি নিয়ম আছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের গোয়েন্দাসংস্থাদের থাকার জন্য জায়গা দিতে হবে?
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।