০৬ এপ্রিল ২০২৫ রবিবার, ০১:০৬ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
"বিদেশে ১,৭০০ কোটি ডলার পাচার: আওয়ামীপন্থী ৮ গ্রুপের টাকার খোঁজে হান্ট শুরু"
বিদেশে পাচারকৃত বিপুল অঙ্কের অর্থ ফেরত আনতে সক্রিয় হয়েছে বাংলাদেশের সরকারি সংস্থাগুলো। ব্যাংক ঋণের নামে অর্থ লোপাট ও কর ফাঁকির মাধ্যমে বিদেশে সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীপন্থী আটটি প্রভাবশালী শিল্প-বাণিজ্য গ্রুপের বিরুদ্ধে। এই গ্রুপগুলো হলো—সামিট, এস আলম, বেক্সিমকো, নাসা, সিকদার, জেমকন, ওরিয়ন ও আরামিট।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং সিআইডির যৌথ তদন্তে এই গ্রুপগুলোর বিদেশে অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাচারকৃত অর্থের অবস্থান পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১১টি দেশে।
ইতিমধ্যে আটটি দেশের কাছে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে যাতে অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, সরকারের তিন মেয়াদে বিদেশে প্রায় ১,৭০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। শুধু এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধেই ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বেক্সিমকো-এর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে ৮ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড, আর নাসা গ্রুপের বিরুদ্ধে ৬৭০ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে।
সামিট গ্রুপের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ, টেলিকম ও বন্দর খাতে অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আছে, যা তাদের বিদেশি বিনিয়োগের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, “যথাযথ আন্তঃসংস্থা সমন্বয় থাকলে এই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব, যদিও এটি কঠিন একটি প্রক্রিয়া।”
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, “রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে তদন্ত এগিয়ে নিতে পারলে অর্থ ফেরত আনার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।”
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।