facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর রবিবার, ২০২৪

Walton

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী বেতেনক্যুঁ মেয়ার


১০ জুলাই ২০২৩ সোমবার, ১০:৪৯  এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী বেতেনক্যুঁ মেয়ার

তৃতীয়বারের মতো বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে ধনী নারীর স্থান ধরে রেখেছেন ফরাসি বিলিয়নিয়ার ফ্রাঁসোয়াস বেতেনক্যুঁ মেয়ার। তার মোট অর্থের পরিমাণ ৮০.৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের তুলনায় এই নারীর সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫.৭ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষের তালিকায় ১১তম স্থানেই বেতেনক্যুঁ মেয়ার-এর নাম। গত বছর তিনি এই তালিকার ১৪ নম্বরে অবস্থান করছিলেন। ফোর্বসের ২০২৩ সালে সারাবিশ্বে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় মাত্র ৩৩৭ জন নারী বিলিয়নিয়ার রয়েছেন, যা পৃথিবীতে থাকা মোট ২৬৪০ বিলিয়নিয়ারের মাত্র ১৩ শতাংশ।

১৯৫৩ সালের ১০ জুলাই ফ্রান্সের নিউলি-সার-সেইনে জন্মগ্রহণ করেন মেয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিউটি ও প্রসাধনী ব্র্যান্ড ল`রিয়াল এর উত্তরাধিকারী, প্রয়াত ব্যবসায়ী লিলিয়ান বেতনক্যুঁর একমাত্র মেয়ে ফ্রাসোয়াস বেতনক্যুঁ।

২০১৭ সালে মায়ের মৃত্যুর পর বেতনক্যুঁ ল`রিয়াল ব্র্যান্ডে তার মায়ের ৩৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক হন। ৪২.২ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ২০১৮ সালে নবাগত ধনীর তালিকায় স্থান করে নেন মেয়ার।

শুধুমাত্র ২০২২ সালে ল`রিয়াল ব্র্যান্ড ৩৮.২ বিলিয়ন ডলার লাভ করে। মোট ৮৫ হাজার কর্মী রয়েছে মেয়ারের। ২০২১ সালের পর থেকে কোম্পানিটি আশার চেয়েও বেশি লাভ করে। ভালো নেতৃত্বের কারণে ল`রিয়েলের স্টকে গত বছরে ১২ শতাংশের বেশি মূল্যবৃদ্ধি ঘটে।

এছাড়াও, তিনি মানবসেবামূলক সংগঠন বেতনক্যুঁ শ্যুলার ফাউন্ডেশন-এর সভাপতি। বৈজ্ঞানিক গবেষণা,মানবিক সাহায্য এবং সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক ঐতিহ্য রক্ষার মতো নানা কাজের সঙ্গে জড়িত এ সংগঠন। এর বাইরে একাধিক বইও প্রকাশিত হয়েছে বেতনক্যু মেয়ারের।

বেতেনক্যুঁর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী হওয়ার পথটি সুগম ছিল না। উদাহরণ হিসেবে একটি ফ্রেঞ্চ স্ক্যান্ডালের কথা বলা যায়। বিলিয়ন ডলার এদিক-সেদিকের মামলা মা-মেয়ের সম্পর্কে ফাটল ধরায়। ২০০৭ সালে বেতেনক্যুঁ মেয়ার ফ্রাঁন্সিস মারি বানিয়ের নামের দীর্ঘসময়ের একজন পারিবারিক বন্ধু ও স্বনামধন্য ফটোগ্রাফারের নামে ১ বিলিয়ন ডলারের প্রতারণা মামলা করেন। মেয়ার তার মাকে বাগিয়ে বিভিন্ন শিল্পকর্ম কেনা, রিয়েল স্টেট এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার দায়ে অভিযুক্ত করেন ওই ব্যক্তিকে।

পরে আদালত ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেল দেয় এবং ১৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তবে দুটি শাস্তিই কয়েক বছর পর ঘুরে যায়। পরবর্তীতে তার মা বছরের পর বছরজুড়ে এসব বিষয়ে বেতেনক্যুঁ মেয়ারকে জড়িয়ে মন্তব্য করতে থাকেন। এ ছাড়া মেয়ারের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষীকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ২০১১ সালে আলঝাইমারের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে আদালতের পক্ষ থেকে বেতেনক্যুঁ মেয়ারকে তার মায়ের আইনত অভিভাবক নির্ধারণ করা হয়। সূত্র: ফোর্বস

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: