facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪

Walton

বৃহস্পতির ছবি দেখে চমকে গেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা


৩০ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার, ০৫:৪৭  পিএম

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


বৃহস্পতির ছবি দেখে চমকে গেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

হ্যালোইনের ঠিক আগেই বৃহস্পতির পৃষ্ঠে ধরা পড়লো ভয়ঙ্কর মুখের অবয়ব। যে ছবি দেখে রীতিমত বিস্মিত হয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। গত ৭ সেপ্টেম্বর, মহাকাশ সংস্থার জুনো মহাকাশযানটি বৃহস্পতির উত্তরাঞ্চলের (যা জেট এন৭ নামেও পরিচিত) কাছাকাছি পৌঁছে ভুতুড়ে ছবিটি তোলে।

জুনোক্যামে তোলা ছবি খুঁটিয়ে দেখে বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির তারাসভ বলেছেন, বৃহস্পতির জেট এন৭ এলাকায় এমন মুখের ছবি ধরা পড়েছে। দেখে মনে হচ্ছে ভুতুড়ে মুখ। মুখের চোখ-নাক-ঠোঁট যেন বেঁকেচুরে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন গ্যাস জায়ান্ট বৃহস্পতির দিন এবং রাতের বিভাজন রেখা জুড়ে উত্তাল মেঘ এবং ঝড়ের কারণে এটি ঘটেছে। জেট এন৭ এলাকায় সবসময়েই ঘূর্ণিঝড় চলে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকায়। ওই এলাকার উপর ঘন হয়ে থাকে মেঘ। তাই সবমিলিয়েই মনে হয়েছে যেন তা মানুষের মুখের আদল নিয়েছে।

তারাকভ বলছেন, দেখতে মুখের মতো লাগলেও আসলে সবটাই দৃষ্টিভ্রম। এটিই প্রথম নয় যে বৃহস্পতির স্ন্যাপশটে বিরল ছবি দেখা গেছে। জুনো ২০১৬ সালের জুলাই মাসে গ্রহের কক্ষপথে আসার পর থেকে, প্রোবটি বৃহস্পতির ঘূর্ণায়মান মেঘের অসংখ্য চিত্র তুলেছে, যেটিকে লোকেরা ভ্যান গঘের চিত্রকর্ম থেকে শুরু করে ডলফিন পর্যন্ত সবকিছুর সাথেই তুলনা করেছেন।

প্যারিডোলিয়া নামে পরিচিত মস্তিষ্কের একটি কার্যক্রম থেকে মানুষ এলোমেলো বস্তুতে মুখ বা অন্যান্য ছবি দেখতে পান। ১৯৮৯ সালে বৃহস্পতিতে মহাকাশযান গ্যালিলিও পাঠিয়েছিল নাসা। ২০০৩ সালে গ্যালিলিও ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরে নাসা তার মহাকাশযান জুনোকে পাঠিয়েছে বৃহস্পতির খবর আনতে।

বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির তারাসভ জুনোক্যাম যন্ত্র থেকে তোলা ডেটা ব্যবহার করে চূড়ান্ত চিত্র তৈরি করেছেন। জুনো বৃহস্পতির মেঘের শীর্ষ থেকে প্রায় ৪৮০০মাইল উপরে ছিল, প্রায় ৬৯ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে অবস্থান করছে। সূত্র: লাইভ সায়েন্স

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি -এর সর্বশেষ