০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার, ১০:০৬ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, ব্যাংক পরিচালকদের যোগসাজশে জালিয়াতি, ঋণ জাল এবং অর্থপাচারের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতকে বিপর্যস্ত করে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা, যা ২০১৬ সালের তুলনায় ১৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসল ঋণের পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
দুর্নীতির চিত্র:
- পরিচালকরা অন্য ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা করে বিপুল অঙ্কের ঋণ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
- নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পরিচিতজনদের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
- নিজের ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা থাকলেও অন্য ব্যাংক থেকে অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঋণ নেওয়া হচ্ছে।
দুর্নীতি শীর্ষ ব্যাংকগুলোর তালিকা:
১. ইসলামী ব্যাংক: ২৭ হাজার কোটি টাকা।
২. পূবালী ব্যাংক: ১৭ হাজার কোটি টাকা।
৩. জনতা ব্যাংক: ১৩.৫ হাজার কোটি টাকা।
৪. এক্সিম ব্যাংক: ১৩.৫ হাজার কোটি টাকা।
৫. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক: ১০ হাজার কোটি টাকা।
বিশ্লেষকরা যা বলছেন:
বিশ্বব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আইনের দুর্বলতাই পরিচালকদের এই অনিয়মের সুযোগ তৈরি করেছে। আইন শক্তিশালী না হলে এমন দুর্নীতি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
ব্যাংক খাতের এই পরিস্থিতি পুরো অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ লুটপাট বন্ধে কঠোর আইন এবং কার্যকর তদারকি এখন সময়ের দাবি।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।