০৪ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার, ১২:৪৫ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের সংকটের ইঙ্গিত মিলছে। গত এক বছরে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ২০.২০ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৩ কোটি টাকা—যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২.৮১ গুণ বেশি।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা এ ঋণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, অনিয়মিত ঋণ বিতরণ ও নীতিগত দুর্বলতা এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। বিশেষ করে, এস আলম গ্রুপের মতো বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণখেলাপি হওয়া সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন যে, পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি এবং ভবিষ্যতে এটি আরও গুরুতর হতে পারে। তিনি জানান, আগের নিয়ম অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে ঋণ খেলাপি হতো, কিন্তু নতুন নিয়মে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে ঋণ খেলাপি হয়ে যাচ্ছে, ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে।
শুধু বেসরকারি ব্যাংক নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা, যা তাদের মোট ঋণের ৪২.৮৩ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে। সংকট মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।