১০ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার, ০১:০৮ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
ব্যাংকিং খাতে বড় ধাক্কা: আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক!
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে আবারও বড় রদবদল! বহুল আলোচিত আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার, ৯ এপ্রিল, একটি আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তকে ব্যাংকটির আর্থিক স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে—“ব্যবস্থাপনাগত চরম দুর্বলতায় ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা বিপর্যস্ত। বিপুল মূলধন ঘাটতি, শ্রেণীকৃত বিনিয়োগের পরিমাণ, সম্পূর্ণ ক্ষতি এবং ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা—এসবই এই সিদ্ধান্তের কারণ।”
তবে এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন একজন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দিয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমানকে নতুন বোর্ড ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের অতীত ইতিহাসও কম চাঞ্চল্যকর নয়। ১৯৮৭ সালে আল-বারাকা ব্যাংক নামে যাত্রা শুরু করা এই ব্যাংকটি ১৯৯৪ সালেই সমস্যাযুক্ত তালিকায় পড়ে। পরে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক হয়ে আবারও নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো এর বোর্ড বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে এটি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও—তারল্য সংকট থেকে আজও মুক্ত হতে পারেনি।
এই সিদ্ধান্ত আবারও প্রমাণ করছে, বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আর্থিক খাতে সুশাসন আনতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এদিকে কর কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর আইন সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স মিউচুয়াল ফান্ড খাতে চলমান কর রেয়াত সুবিধা বাতিলের সুপারিশ করেছে। ২০১৩ সালে এসআরও জারির মাধ্যমে চালু হওয়া এই সুবিধা ২০২৬-২৭ অর্থবছর পর্যন্ত বহাল থাকার কথা থাকলেও এখন তা পুনর্বিবেচনার মুখে।
কমিটির মতে, এখন খাতটির ব্যাপ্তি ও লাভ অনেক বেড়েছে, তাই আগের মতো কর ছাড় বজায় রাখার যৌক্তিকতা নেই। তবে এই সুপারিশে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, শেয়ারবাজারে মন্দা ও তারল্য সংকটের মাঝে কর রেয়াত বাতিল করলে পুরো খাতটাই চরম সংকটে পড়বে।
এছাড়া, এনবিআরের একজন সদস্য জানিয়েছেন, আইএমএফের ঋণচুক্তির শর্ত পূরণ ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সুপারিশ এসেছে, তবে কিছু সুবিধা সময়সীমা পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা অয়েল কোম্পানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ১৫০% নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের পর, বিইএফটিএন সিস্টেমসের মাধ্যমে এই লভ্যাংশ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।
এই ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।