০৪ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার, ১১:৫২ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং ধর্মের মতো পাঁচ থেকে ছয়টি বিষয় বাধ্যতামূলক থাকবে। বাকি বিষয়গুলো উন্মুক্ত রাখা হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী পদার্থ, রসায়ন বা অর্থনীতির মতো বিষয় বাছাই করতে পারবে।
এ পরিকল্পনা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এটি বাস্তবায়নে রয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, শিক্ষক সংকট এবং সময়সূচি ঠিক রাখার মতো বিষয়গুলো মোকাবিলা করতে হবে।
শিক্ষাবিদদের মধ্যে এই পরিকল্পনা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, “বিদেশি মডেল বাংলাদেশে হঠাৎ বাস্তবায়ন কঠিন। শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি এবং শিক্ষকদের দক্ষতার অভাব এ উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, এখন থেকে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হলে ভবিষ্যতে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব। বিষয় নির্বাচনের স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে বলেও তারা আশা করছেন।
এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, তবে এটি সফল করতে প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।