২০ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ০৬:০৯ পিএম
স্পোর্টস ডেস্ক
শেয়ার বিজনেস24.কম
মাত্র ২ টেস্টের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে অনেকেই তাকে মনে রেখেছেন বোলিং গতির কারণে। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেকে টেস্টে ঘণ্টায় ১৫৭.৮ কিলোমিটার গতিতে একটি বল করেছিলেন। দ্রুত গতির সেই ডেভিড জনসনের জীবনপ্রদীপও নিভে গেল দ্রুতই।
ভারতের সাবেক ফাস্ট বোলার জনসন আজ বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তবে তার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, নিজ বাসার পাঁচতলার বারান্দা থেকে পড়ে যান জনসন। স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীদের দাবি, জনসন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসা নিতে নিয়মিতই হাসপাতালে যেতে হতো। গত সপ্তাহেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিছুটা সুস্থ হলে তিন দিন আগে বাড়ি ফেরেন। জনসনের স্ত্রী তার দেখভাল করছিলেন।
জনসনের সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যোগাযোগ করলে তারা জানান, জনসন আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিলেন না। বন্ধুদের কাছে সাহায্যও চেয়েছিলেন। সবকিছু মিলিয়েই ভেঙে পড়েছিলেন জনসন। এ কারণে পাঁচতলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।
জনসনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয় শাহ লিখেছেন, ‘আমাদের সাবেক ফাস্ট বোলার ডেভিড জনসনের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা। খেলায় তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
জনসনের মৃত্যুর খবরে শোকাহত অনিল কুম্বলেও। দীর্ঘদিন রাজ্য দল কর্ণাটকের হয়ে একসঙ্গে খেলছেন কুম্বলে আর জনসন। প্রিয় সতীর্থকে হারানোর খবর পেয়ে কিংবদন্তি এই স্পিনার লিখেছেন, ‘আমার সতীর্থ ডেভিড জনসনের মৃত্যুতে শোকাহত। ওর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে বেনি (জনসনের ডাকনাম)।’ ভারতের পরবর্তী প্রধান কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা গৌতম গম্ভীর লিখেছেন, ‘ডেভিড জনসনের মৃত্যুতে শোকাহত। সৃষ্টিকর্তা তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের (এই শোক সইবার) শক্তি দিন।’
ভারতের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে ১৯৯৬ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন কর্নাটকের ফাস্ট বোলার জনসন। ১৯৯৫-৯৬ সালে রঞ্জি ট্রফিতে কেরালার বিপক্ষে ১৫২ রানে ১০ উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের নজর কাড়েন।
১৯৯৬ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিল্লি টেস্টে তার অভিষেক হয়। জাভাগাল শ্রীনাথ চোট পাওয়ায় তাঁর জায়গায় সেই ম্যাচে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন জনসন। প্রথম ইনিংসে উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আউট করেন মাইকেল স্ল্যাটারকে। সেই বছরের ডিসেম্বরে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলেন জনসন। ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নেন ২ উইকেট।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।