facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার, ২০২৪

Walton

ভালো খাবারের প্রশংসা করবেন যেভাবে


১৪ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার, ১১:২৫  এএম

ধর্ম ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


ভালো খাবারের প্রশংসা করবেন যেভাবে

 

জীবন ধারণের জন্য খাবার অপরিহার্য। খাবার-দাবার ঠিক না থাকলে মানুষের শরীর ভেঙ্গে যায়, দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ইবাদতে মন বসে না এবং কোন কাজে স্বতঃস্ফূর্ততা থাকে না। তাই পানাহার মানুষের জন্য জরুরি বিষয়। তবে খাবার অবশ্যই হালাল হতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! আমার দেয়া পবিত্র বস্তুগুলো খেতে থাক এবং আল্লাহর উদ্দেশে শোকর করতে থাক, যদি তোমরা তারই ইবাদত করে থাক। -(সূরা বাকারাহ, (২) আয়াত, ১৭২)

হালাল খাবার
আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র ও ভাল জিনিস থেকে খাও এবং সৎকর্ম কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সর্ম্পকে আমি সম্যক জ্ঞাত।-( সূরা মুমিনূন (২৩) আয়াত, ৫১)

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ছাড়া কিছুই কবুল করেন না’। (মুসলিম, হাদিস, ১০১৫; তিরমিজি, হাদিস, ২৯৮৯; মিশকাত, হাদিস, ২৭৬০)

খাবার শেষে রাঁধুনীর প্রশংসা
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবার গ্রহণের বিভিন্ন শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি খাবার শেষে ভালো রান্না ও রাঁধুনীর প্রশংসা করতেও শিখিয়েছেন। কারণ, খাবার শেষে প্রশংসা করলে এতে রাঁধুনীর মনে ভালো লাগা কাজ করে এবং সে খাবার তৈরি করতে গিয়ে যে পরিশ্রম করেছে এতে করে কাজের স্বীকৃতি পায় এবং নিজের স্বার্থকতা খুঁজে পায়। এছাড়াও খাবারের প্রশংসার মাধ্যমে রাঁধুনীর মন জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হয়।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো এমন করতেন― জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার পরিবারে লোকদের কাছে তরকারী চাইলেন। তারা বললেন, আমাদের কাছে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। নবীজি সিরকা আনতে বললেন এবং সিরকা দিয়েই খেতে লাগলেন। এরপর বললেন, সিরকা কতইনা উত্তম তরকারী; সিরকা কতইনা উত্তম তরকারী। -(মুসলিম, হাদিস, ৩৮২৪)

নবীজি খাবারের দোষ ধরতেন না
খাবারের প্রশংসা করার পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাবারের দোষ না ধরা। যারা রান্না করেন, তাদের পুরো চেষ্টা থাকে যেন খাবার সবদিক থেকে ভালো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও খাবারে দোষ-ত্রুটি থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বা অন্য কারও সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করা বিশ্রি ও নিতান্ত বেমানান।

হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৮২)

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: