০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার, ১১:২৪ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
ভিসা–জটিলতার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য গালফ ফুড ফেয়ারে বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এতে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ব্যবস্থাপনায় ৩২৪ বর্গমিটার আয়তনের একটি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্ধারিত হয়েছে। এই প্যাভিলিয়নের জন্য আবেদন করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে জমা দিয়েছে, যার ৩০ শতাংশ ইপিবি ভর্তুকি হিসেবে বহন করবে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে গত জুলাইয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন সড়কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিক্ষোভের পর ইউএই কর্তৃপক্ষ ভিসা সীমিত করে দেয়। এতে ব্যবসায়ীরা অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাননি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) বিষয়টি ইপিবিকে জানালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাওয়া হয়।
এদিকে, দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। ইপিবি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে লিখিত বন্ডও নিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, তারা মেলা শেষে দেশে ফিরে আসবে। তবু, সোমবার পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের ভিসা মেলেনি।
বাপার সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক জানান, ‘আমরা এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা জানিয়েছে, এম্বাসি এখনো সাড়া দেয়নি।’ তার মতে, মেলায় অংশ নিতে না পারলে রপ্তানি হ্রাসের আশঙ্কা রয়েছে।
এবারের গালফ ফুড ফেয়ারে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ইস্পাহানি ফুডস, হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো, প্রাণ ফুডস, কিষোয়ান স্ন্যাকস, বনফুল অ্যান্ড কোম্পানি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বম্বে সুইটস, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, আকিজ এসেনশিয়ালসহ ৪১টি প্রতিষ্ঠানের।
হিফস অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছৈয়দ মুহাম্মদ সোয়াইব হাছান বলেন, ‘গালফ ফুড ফেয়ার কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের সবচেয়ে বড় মেলা। বাংলাদেশের এই খাতের রপ্তানি বৃদ্ধির পেছনে এই মেলার বড় ভূমিকা রয়েছে। অথচ, অধিকাংশ ব্যবসায়ীর এখনো ভিসা মেলেনি।’
২০২৩ সালে গালফ ফুড ফেয়ারে ১২০টি দেশের প্রায় ৫,০০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে বাংলাদেশের ৩৯টি প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিকভাবে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছিল। এবার ভিসা জটিলতা দীর্ঘায়িত হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইপিবির উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য মঙ্গলবার জানা যাবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।