০৬ জানুয়ারি ২০২৫ সোমবার, ১০:৪৯ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
দৈনিক প্রথম আলো থেকে সংগৃহীত |
মতিঝিল থানার আওতাধীন ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ ২ লাখ কোটি টাকা, যা ঢাকার মোট আমানতের প্রায় ১১ শতাংশ। মতিঝিলের বাণিজ্যিক গুরুত্ব এখনও অটুট। এক সময় দেশের সব প্রধান ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কেন্দ্র ছিল এই এলাকা। ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় মতিঝিলে থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক বড় বড় আমানত এখানেই জমা হয়।
মতিঝিলের পরেই গুলশান থানার গ্রাহকদের আমানতের পরিমাণ ১ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। গত কয়েক বছরে গুলশান এলাকা ঢাকার নতুন বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় গুলশানে স্থানান্তরের ফলে এই এলাকার ব্যাংক আমানত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তৃতীয় অবস্থানে বনানী, যেখানে ব্যাংক গ্রাহকদের আমানত ৫৩ হাজার কোটি টাকা। ধানমন্ডি ও পল্টন এলাকাও যথাক্রমে ৫০ হাজার কোটি ও ৪২ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকার আমানত নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। পল্টন ও তেজগাঁওয়ের মতো এলাকা, যেখানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, হোটেল, হাসপাতাল এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে ব্যাংক আমানতের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।
ঢাকার সবচেয়ে কম ব্যাংক আমানত ভাষানটেক থানায়। এখানে গ্রাহকদের মোট আমানত মাত্র ২৪০ কোটি টাকা। ভাষানটেকের পর গেন্ডারিয়া ও উত্তরখান রয়েছে যথাক্রমে ৬৪৭ কোটি ও ৬৫৯ কোটি টাকার আমানত নিয়ে।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, গুলশানের ক্রমবর্ধমান আমানতের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, কয়েক বছরের মধ্যে গুলশান মতিঝিলকে ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া, ঢাকার অন্যান্য এলাকাগুলোর মধ্যে যেখানে শিল্প ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বেশি, সেখানেই ব্যাংক আমানত বাড়বে।
এমন আকর্ষণীয় ও বৈচিত্র্যময় পরিসংখ্যান ঢাকার অর্থনৈতিক চিত্রের একটি সমৃদ্ধ চেহারা তুলে ধরে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।