০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার, ১২:০১ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে গিয়াসউদ্দিন মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
মামলার প্রসঙ্গে মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী জানান, ২০১৯ সালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের রায়ে গিয়াসউদ্দিন মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দেওয়া হয়। ওই সাজা ইতোমধ্যেই ভোগ করেছেন মামুন। তবে উচ্চ আদালতের রায়ে আজ তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বিটিএলের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডের একটি ঠিকাদারি কোম্পানির বাংলাদেশের এজেন্ট ছিলেন। ওই কোম্পানি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের একটি টেন্ডার পেয়েছিল।
তবে অভিযোগে বলা হয়, ২০০৩ সালে টেন্ডারের কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াসউদ্দিন মামুন অবৈধ কমিশন দাবি করেন। তিনি কাজ বাতিলের হুমকি দিলে ২০০৪ সালে শাহজাদ আলী ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে মামুনের অ্যাকাউন্টে জমা করতে বাধ্য হন।
২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত গিয়াসউদ্দিন মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ডসহ ১২ কোটি টাকা জরিমানা এবং জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন। এরপর তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।