facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৫

Walton

মিয়ানমারে গোলাগুলি-বোমা বিস্ফোরণ অব্যাহত, সীমান্তে আতঙ্ক


০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার, ১০:০৯  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


মিয়ানমারে গোলাগুলি-বোমা বিস্ফোরণ অব্যাহত, সীমান্তে আতঙ্ক

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলিবর্ষণ, মর্টারশেল নিক্ষেপসহ বোমার প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা বারবার কেঁপে উঠছে। দেশটি থেকে ছোড়া গুলি, মর্টারশেল এপারে এসে পড়ছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের দুটি বসতঘরে মর্টারশেল এবং আরও পাঁচটি ঘরে গুলি লাগে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে বাংলাদেশের এক নাগরিক আহত হয়েছেন। সীমান্তের আতঙ্কিত বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন। সোমবার মিয়ানমারের মর্টারশেলে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে দুজনের মৃত্যু ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) প্রচণ্ড লড়াই চলছে। দুপক্ষের গুলিবর্ষণ, মর্টারশেল নিক্ষেপসহ বিস্ফোরণের শব্দে বান্দরবানসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা বারবার কেঁপে উঠছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় এমন শব্দ শোনা যাচ্ছে। থেকে থেকে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী এলাকা।

এদিকে, সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে সোমবার দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির কড়া প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি সীমান্তের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান।

সীমান্তের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ সীমান্ত এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের ইউনিয়নে ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাইশপারি তঞ্চঙ্গ্যাপাড়া থেকে ২০টি পরিবার, ভাজাবনিয়া তঞ্চঙ্গ্যাপাড়া থেকে ৩০টি পরিবার, তুমব্রু কোনারপাড়া থেকে ৩০টি পরিবার, ঘুমধুম পূর্বপাড়া থেকে ২০টি পরিবার, তুমব্রু হিন্দুপাড়া থেকে ১০টি পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে পাশের বিভিন্ন এলাকার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)। মঙ্গলবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন এ নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে সংঘাতের কারণে শুরুতে শুধু মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বিজিপি সদস্যরা পালিয়ে আসলেও দেশটির সেনাসদস্যরাও তাতে যোগ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে ২৬৪ জন আশ্রয় নিয়েছে। এরমধ্যে বিজিপি সদস্যের পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য, কাস্টমসকর্মী ও সাধারণ নাগরিকরাও রয়েছেন। কারা কতজন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে শুধু বিজিপির সদস্য সংখ্যা ১১৪ জন। তিনি বলেন, পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবি নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে এবং বাকিদেরও বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: