১৯ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার, ১০:১৭ এএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ প্রতিটি মসজিদে সন্ধ্যা থেকেই ভিড় করেন মুসল্লিরা। এশা ও তারাবির পাশাপাশি তারা বিভিন্ন নফল ইবাদত করেন। এ রাতে অনেক মসজিদে তাবারিতে কোরআন খতম করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এই রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। তারা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটিয়েছেন।
রোজাদাররা এ রাতটির জন্য দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করে থাকেন।
এই লাইলাতুল কদরে বিশেষ দোয়া পড়ার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন নবিজি।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমি যদি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।