১১ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার, ১২:১০ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
পরীমনির বাবা-মা অনেক আগেই মারা গেছেন, নানার বাড়িতে বেড়ে ওঠা এই তারকার জীবনে সবচেয়ে বড় আশ্রয় ছিলেন তাঁর নানা শামসুল হক গাজী। ২০২৩ সালের নভেম্বরে নানা মারা যাওয়ার পর একাকিত্ব যেন আরও প্রকট হয়েছে তাঁর জীবনে।
সন্তানের মা হয়ে একা জীবন সামলাতে গিয়ে মাঝে মাঝে তিনি হিমশিম খান। সাবেক স্বামী চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর একাই সন্তান ও সংসারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। সেই বাস্তবতারই এক টুকরো অনুভূতি উঠে এসেছে তাঁর লেখায়।
ফেসবুক পোস্টে পরীমনি লিখেছেন,
"আহারে জীবন! কত পলিশভাবে উপস্থাপন করতে চাই আমরা সব সময় সোশ্যাল মিডিয়ায়! কিন্তু আসলে কি তা–ই হয় সব সময়? হয় না তো!"
তিনি বলেন, সংকটের মধ্যেও মানুষ চায় নিজেদের রঙিনভাবে উপস্থাপন করতে, কিন্তু সবসময় তা সম্ভব হয় না।
একাকিত্বের কথা জানিয়ে তিনি লেখেন,
"এই যে আমি, কত অসহায় লাগে আমার নিজেকে, যখন একা একা খেতে বসতে হয়। শুধু এই একটা সময়ই আমার নিজেকে বড্ড একা লাগে। এতিম লাগে। নানাভাই বেঁচে থাকতে কোনো দিন বুঝতে পারিনি, আমি এমনভাবে একা!"
নানার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তাঁর জীবনে নানা ছিলেন ছায়ার মতো। তিনি বেঁচে থাকলে কখনো একাকিত্ব অনুভব করতে হতো না।
সন্তানদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে পরীমনি আশাবাদী থাকার চেষ্টা করেন। তিনি লেখেন,
"আমি সব সয়ে নতুন করে বাঁচার মানুষ বরাবরই। আমি জানি, আমার বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে আবার নতুন করে সুখী মানুষ হয়ে যাব আমি। তখন একা বসে খেতে তো হবে না আর…।"
পরীমনির এই লেখায় অনেক একলা মায়ের বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়েছে। সেলিব্রিটি হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের মতোই জীবনের কষ্ট, শূন্যতা ও আশা-নিরাশার কথা অকপটে ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁর এই পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে অনেকেই সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।