২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার, ১০:৫৭ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
পবিত্র রমজান মাস ঘিরে নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে কেনাবেচার চাপ। অনেকেই পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে করছেন, আবার কেউ কিনছেন এক-দুই সপ্তাহের জন্য। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে জমজমাট বেচাকেনার দৃশ্য।
গত চার মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। নির্ধারিত মূল্য ১৭৫ টাকা থাকলেও, বাজারে তেল মিলছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। কিছু দোকানে নির্ধারিত মূল্য মুছে ফেলার অভিযোগও পাওয়া গেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করেই তেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
রমজানের প্রধান উপাদান ছোলার সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও, ডলারের বিনিময়মূল্য বৃদ্ধির কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকা কেজিতে। তবে আমদানি বেশি হওয়ায় সংকটের আশঙ্কা নেই।
পেঁয়াজের সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে। পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪২ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকার আশপাশে, আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ব্যাপক সবজি উৎপাদন হওয়ায় রমজানে দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম। বর্তমানে সবজির দাম গড়ে ৪০ টাকার আশপাশে রয়েছে। বেগুন ৩৫, টমেটো ২০-৩০, কাঁচা মরিচ ৪০-৬০, ক্ষীরা ৩০-৪০ ও আলু ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে লেবুর দাম বেড়েছে, এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০-১৮৫, সোনালি মুরগি ৩০০-৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম ৭৫০-৮০০ টাকা (হাড়সহ) ও খাসির মাংস ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীদের মতে, সরবরাহ ঠিক থাকলে রমজানে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। তবে কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর প্রবণতা থাকতে পারে, যা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।