০৬ মার্চ ২০২৫ বৃহস্পতিবার, ১২:২৩ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
দেশের করব্যবস্থা সংস্কারে পরিবর্তন অনিবার্য হলেও, তা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বাস্তবতার নিরিখে। অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে এই সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ না করা হলে তা কখনোই টেকসই হবে না। সম্প্রতি পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এই ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বক্তারা বলেন, গত কয়েক মাসে যেসব খাতে কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কৃষি, তামাক, জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্য খাতে এসব পরিবর্তন সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বদলে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে সংকট সৃষ্টি করছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, "সরকার একটি এমন করব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও রাজস্ব আদায়ের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য তৈরি করবে।" তবে তিনি এও বলেন যে, করনীতিতে পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা জরুরি।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা জোর দিয়ে বলেছেন যে, করনীতির বড় ধরনের পরিবর্তন আনার আগে নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনীষা আব্রাহাম বলেন, "অতিরিক্ত কর আরোপের ফলে বৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না।"
গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা একমত হয়ে বলছেন, ‘করনীতি সংস্কারে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা, দেশের অর্থনীতির জন্য স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির স্বার্থে অপরিহার্য।’
এছাড়া, উপস্থিত বক্তারা সুপারিশ করেছেন যে, তামাকসহ বিভিন্ন খাতে কর বৃদ্ধির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত এবং একটি সুষ্ঠু কর সংস্কার কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। করনীতির স্থিতিশীলতা ও সমন্বয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদ উদ্দিন মন্তব্য করেছেন, "আমরা যে সুপারিশ দিয়েছি, তা সবার কাছে তুলে ধরব, যাতে সকল পক্ষের মতামত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।"
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।