৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার, ০৬:৪৯ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
পূর্ববর্তী বছর ২০২৩-এ যেখানে মোট রেমিট্যান্স ছিল ২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, সেখানে এবছর প্রায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হলো, সরকার পরিবর্তনের পর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা।
চলতি বছরে ডলারের অফিসিয়াল রেট প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে ডলারের দর ছিল ১১০ টাকা। আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিনিময় হার বাড়িয়ে ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা ডিসেম্বরে সাময়িকভাবে ১২৮ টাকায় পৌঁছেছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক মৌখিক নির্দেশনায় ডলারের সর্বোচ্চ রেট ১২৩ টাকা নির্ধারণ করেছে।
২০২৪ সালে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহেও রেকর্ড হয়েছে। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসেই প্রতি মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। শুধু জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের গতি কিছুটা কমে যায়।
ডিসেম্বর মাসের ২৮ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে পাওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ডটি ছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে), যা আইএমএফের নিয়মানুযায়ী ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, “রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বিদেশি অনুদান যোগ হওয়ায় রিজার্ভেও ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট শক্তিশালী।”
২০২৪ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহের এই ধারা দেশের অর্থনীতিতে একটি স্থিতিশীল এবং ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কেবল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়নি, এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।