০২ মে ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ১১:৪৯ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
সাধারণ মানুষ যা যা খেতে পারে একজন ডায়াবেটিস রোগীও সেসব খাবার খেতে পারে। একটি মিথ প্রচলিত আছে যে তারা শুধু চিনি ছাড়া সব খাবার খেতে পারে। তবে যেকোনো ডায়াবেটিক, বিশেষ করে অল্পবয়সী ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
একজন ডায়েটিশিয়ান ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীকে পরামর্শ দিতে পারেন যে তার খাদ্যতালিকায় কী ধরনের খাবার থাকতে পারে। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশুর একটি সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন।
শিশু কী পরিমাণ খাবার খেতে পারবে তা সম্পূর্ণরূপে তার আকার ও বয়সের ওপর নির্ভর করে। তবে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন খাবার ডায়েটে রাখা যাবে না।
মিষ্টি খাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তবে তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা উচিত নয়।
বর্তমানে ছোট শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবেটিসে। শিশুর ডায়াবেটিস হয়েছে বিষয়টি বাবা-মা বুঝতে না পারার কারণে শিশুর ক্ষতি হচ্ছে।
শিশুর ডায়াবেটিসের কারণ—
গর্ভবতী মায়েদের অনিয়ম, অপুষ্টি, জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হলে, খাবারে মাংস-চিজ-মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকলে, শারীরিক পরিশ্রম কম করা, ব্যায়াম ও হাঁটাচলা না করা।
ব্যায়াম হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের দ্বিতীয় প্রধান উপায় এবং এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সব শিশুর জন্য অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিসযুক্ত শিশুদের প্রতিদিন ব্যায়াম করার চেষ্টা করা উচিত। তাদের পিতা-মাতারও এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত। কারণ শারীরিক কার্যকলাপ রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়।
শিশুদের ইনসুলিনের ডোজ কমানো প্রয়োজন হতে পারে, ব্যায়াম রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। ফলে হাইপোস হতে পারে। শারীরিক ব্যায়াম করার সময় শিশুর সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত। শারীরিক কার্যকলাপের ওপর শিশু কী পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করবে তা নির্ভর করে।
সূত্র: ডায়াবেটিস ইউকে
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।