২৪ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার, ১১:২২ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
গুঞ্জনের সূত্রপাত হয় ইনস্টাগ্রামে একজন আরেকজনকে আনফলো করার পর। ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, শেবাগ ও আরতি কয়েক মাস ধরেই আলাদা বসবাস করছেন। ২০০৪ সালে ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাসায় ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন এই জুটি। এতদিন তাঁদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে কোনো বিতর্ক শোনা না গেলেও, এবার সম্পর্কের টানাপোড়েন বেশ প্রকাশ্য।
দীপাবলিতে শেবাগ তাঁর মা ও দুই ছেলের ছবি পোস্ট করলেও স্ত্রীর ছবি অনুপস্থিত ছিল। ভক্তদের চোখে সেটিই প্রথম সন্দেহের কারণ হয়ে ওঠে। দুই সন্তান—আর্যবীর (২০০৭) এবং বেদান্তের (২০১০)—মায়ের উপস্থিতি ছাড়া শেবাগের পোস্ট অনেকের মনেই প্রশ্ন তোলে। শেবাগের মতোই আরতিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
দুই সপ্তাহ আগে শেবাগ একা গিয়েছিলেন বিশ্ব নাগাকেশি মন্দিরে। ইনস্টাগ্রামে সেখানকার ছবি শেয়ার করলেও স্ত্রী আরতির কোনো উল্লেখ করেননি। শেবাগের ভক্তরা মনে করছেন, এই নীরবতাই তাঁদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের ইঙ্গিত দেয়।
দিল্লির মেয়ে আরতি কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা শেষে ব্যবসায় নামেন। বর্তমানে তিনি চারটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। শেবাগের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর তাঁদের বিয়ে হয়েছিল জমকালো আয়োজনে। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই বলেই জানা গেছে।
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া শেবাগ বর্তমানে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত। ৪৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ভারতের অ্যান্টি ডোপিং আপিল প্যানেলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
যদিও দুই পক্ষই এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবু তাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে গুঞ্জন থামছে না। শেবাগের ভক্তরা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের এই অধ্যায়ের চূড়ান্ত রূপ জানতে অপেক্ষায় আছেন।
শেষ পর্যন্ত তাঁদের সম্পর্ক কোন পথে এগোয়, তা দেখার জন্যই হয়তো সময়ের অপেক্ষা।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।