শেয়ার বিক্রিতে সরব পরিচালকেরা

 শেয়ার বিক্রিতে সরব পরিচালকেরা: প্রথম প্রান্তিকে ১০ কোম্পানির ৬৭ কোটির শেয়ার হস্তান্তর, বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এই সময়ে বিক্রি বা বিক্রির প্রক্রিয়াধীন শেয়ারের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

বিশ্লেষকদের মতে, এত সংখ্যক পরিচালকের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, উদ্যোক্তাদের শেয়ার বিক্রিকে অনেক সময় কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখা হয়। তবে সব ক্ষেত্রে বিষয়টি নেতিবাচক না-ও হতে পারে, এটি নির্ভর করে বিক্রির পেছনের কারণ এবং কোম্পানির মৌলিক ভিত্তির ওপর।

বাজারে সম্ভাব্য প্রভাব:

• অনেক কোম্পানির শেয়ারে বিক্রির চাপ তৈরি হতে পারে, ফলে দাম সাময়িকভাবে নিচে নেমে যেতে পারে।

• স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

• তবে বাজার ইতোমধ্যে বেশ কিছু শেয়ার বিক্রিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে, যদি তা কোম্পানির স্বাভাবিক ব্যবসায়িক প্রসেস বা পুনঃবিনিয়োগের অংশ হয়।

বিশ্লেষকদের মতামত:

বাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতি বিশারদ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন:

“উদ্যোক্তাদের শেয়ার বিক্রি সব সময়ই নেতিবাচক বার্তা দেয় না। অনেকে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ, ঋণ পরিশোধ বা পোর্টফোলিও পুনর্বিন্যাসের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেন। তবে একসাথে এতগুলো কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির ঘটনা বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক ড. শামীম হোসেন বলেন:

“যেসব কোম্পানির মৌলিক শক্তি ভালো, সেগুলোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা গুজবে কান না দিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়াই ভালো।”

কোম্পানি-ভিত্তিক বিশ্লেষণ:

উপসংহার:

প্রথম প্রান্তিকে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির এই প্রবণতা বাজারে সংকেত দিচ্ছে যে, হয়তো অনেকে তাদের বিনিয়োগ পুনর্গঠন করছেন অথবা ভবিষ্যৎ বাজার পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় আছেন। তবে সব সিদ্ধান্তকে নেতিবাচকভাবে না দেখে কোম্পানির মৌলিক বিশ্লেষণ, আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজার প্রবণতা বিবেচনায় এনে বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।