০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ বুধবার, ০৯:১০ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
শেয়ারবাজার থেকে এক লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে শ্বেতপত্রে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতারণা, কারসাজি, প্লেসমেন্ট শেয়ার ও আইপিও জালিয়াতির মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ লুটপাট হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রণীত এই শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রভাবশালী উদ্যোক্তা, ইস্যু ম্যানেজার, নিরীক্ষক ও বিনিয়োগকারীদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিশাল কারসাজির নেটওয়ার্কের কারণে বাজারে এই বিপর্যয় ঘটেছে।
বিএসইসি’র ব্যর্থতা এবং রাজনৈতিক সুরক্ষা
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি স্বার্থান্বেষী মহলের চাপে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১০-১১ সালের শেয়ারবাজার বিপর্যয়ে মূল হোতাদের অনেকে রাজনৈতিক সুরক্ষায় বিচার এড়িয়ে গেছেন।
বেক্সিমকোর বন্ড ইস্যুতে প্রশ্ন
বেক্সিমকো গ্রুপ ২০২০-২১ সালে সুকুক বন্ডের মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করলেও এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শ্বেতপত্র। তহবিল সংগ্রহের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোর করে বিনিয়োগে বাধ্য করা হয়েছে।
কারসাজির নতুন নতুন কৌশল
শ্বেতপত্রে তুলে ধরা হয়েছে শেয়ারবাজারে কারসাজির কৌশল—কৃত্রিম শেয়ার লেনদেন, বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন গোপন করা এবং বড় মিউচুয়াল ফান্ড দখল। বিএসইসি এসব ক্ষেত্রে কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ।
আস্থা সংকটের পেছনের কারণ
বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানোর মূল কারণ হিসেবে মার্জিন ঋণের অনুপাত বৃদ্ধি, বিতর্কিত ফ্লোর প্রাইস পদ্ধতি এবং শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে বিএসইসি’র অসংলগ্ন পদক্ষেপকে দায়ী করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারে পরিবর্তনের দাবি
বিশেষজ্ঞরা শেয়ারবাজারে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার দাবি করেছেন। শ্বেতপত্রে উত্থাপিত প্রশ্ন ও অভিযোগ তদন্তের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।