facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪

Walton

শেয়ারবাজারে নজিরবিহীন জরিমানাসহ ১২ খবর


২০ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার, ১১:৩৫  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


শেয়ারবাজারে নজিরবিহীন জরিমানাসহ ১২ খবর

সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ঘাটতি, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১৯ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৩২তম কমিশন সভায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, সমন্বিত গ্রাহক হিসাব ঘাটতি থাকায় পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান মর্ডাণ সিকিউরিটিজকে ১ লাখ এবং আনোয়ার সিকিউরিটিজকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টর শেয়ার লেনদেনে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

একইসঙ্গে ২০২১ সালের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের বিধি অনুযায়ী প্রভিশন না করায় বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টর কোম্পানি সচিব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদকে সর্তক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

এদিকে শেয়ার বিক্রিতে আইন ভঙ্গের দায়ে আলমগীর কবিরকে ১২ কোটি টাকা, তুষার এলকে মিয়াকে আড়াই কোটি টাকা এবং অধ্যাপক সুরাইয়া বেগমকে ৫ কোটি টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শক্তিশালী উদ্যোগ: পুঁজিবাজারের ৫ ব্যাংকে সবুজ সংকেত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ ব্যাংকের মোট দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৩২তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা ব্যাংক পিএলসি : ব্যাংকটির ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এই ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং অবসায়নযোগ্য ৪র্থ সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে।

এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ঢাকা ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে।

বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ব্যাংক এশিয়া পিএলসি : ব্যাংকটির ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ব্যাংকটির বন্ড ইস্যু করার প্রস্তাব ট্রাস্টি সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করা হয়েছে।

ব্যাংক এশিয়ার ৪০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেট। এ বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ০১ কোটি টাকা।

বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দ্বারা ব্যাংকটি তার টায়ার-২ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে।

আলোচিত বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর এর অ্যারেঞ্জারের দ্বায়িত্বে থাকবে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড। বন্ডটি স্টক অল্টার্নেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ইসলামী ব্যাংক পিএলসি : ব্যাংকটির ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এই ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ডটি হবে মুদারাবা আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং অবসায়নযোগ্য ৫ম সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। যার কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে।

বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫০ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ইসলামী ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে।

বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি : ব্যাংকটির ৪৫০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফ্লোটিং রেট এবং সম্পূর্ণ অবসায়নযোগ্য সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। ট্রাস্টি রেজিস্ট্রেশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে এ বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে।

বন্ডটির কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে।

বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লাখ টাকা। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ট্রাস্ট ব্যাংক টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে।

বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসির (এক্সিম ব্যাংক): ব্যাংকটির ২৫০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল এবং অবসায়নযোগ্য ফ্লোটিং রেট সুবর্ডিনেটেড বন্ড। প্রস্তাব ট্রাষ্টি রেজিস্টিশন সনদ জমা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন করেছে। বন্ডটির কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হবে।

এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ৫ লক্ষ টাকা।

এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে এক্সিম ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তিক শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাষ্টি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

১৬ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ আগামীকাল

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রেকর্ড ডেট সংক্রান্ত কারণে বন্ধ থাকবে।

কোম্পানিগুলো হলো: উসমানিয়া গ্লাস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, মেট্রো স্পিনিং, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, লুব-রেফ, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, জাহিন স্পিনিং, সালভো কেমিক্যাল, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মা, স্কয়ার টেক্সটাইল এবং ডেসকো।

এর আগে কোম্পানিগুলোর শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন শুরু করে। আজ শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন সম্পন্ন করবে কোম্পানিগুলো।

আর রেকর্ড ডেটের পর আগামী রবিবার এই ১৬ কোম্পানি যথা নিয়মে শেয়ার লেনদেনে ফিরবে।

বৃহস্পতিবার লেনদেনে ফিরবে ২০ কোম্পানি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২০ কোম্পানি রেকর্ড ডেটের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) শেয়ার লেনদেনে ফিরবে।

কোম্পানিগুলো হলো: তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, একমি ল্যাবরেটরিজ, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, বিডি অটোকার্স, বসুন্ধরা পেপার, ডরিন পাওয়ার, জেনেক্স ইনফোসিস, জিকিউ বলপেন, খান ব্রাদার্স, মেঘনা সিমেন্ট, মুন্নু ফেব্রিক্স, শাশা ডেনিমস, আনলিমা ইয়ার্ন, জিলবাংলা সুগার, শ্যামপুর সুগার, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, অলটেক্স, ন্যাশনাল টিউবস এবং ফু-ওয়াং সিরামিক।

এর আগে কোম্পানিগুলোর শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন সম্পন্ন করেছে। আজ বুধবার রের্কড ডেটের কারণে শেয়ার লেনদেন স্থগিত রেখেছে কোম্পানিগুলো।

 নাম সংশোধনে ইজিএম করবে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নাম সংশোধনে করতে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে।

ইজিএমে নাম সংশোধন করে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর পরিবর্তে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি করার অনুমোদন নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটি আগামী ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইজিএম আহ্বান করেছে। কোম্পানিটি এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে ৩ ডিসেম্বর।

বিএসআরএম স্টিলসের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে।

কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফর্মেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। বিএসআরএম স্টিলসের দীর্ঘমেয়াদি ‘এএ+’ এবং স্বল্পমেয়াদি ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে।

গত ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

বিএসআরএম লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে।

কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফর্মেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। বিএসআরএম লিমিটেডের দীর্ঘমেয়াদি ‘এএ+’ এবং স্বল্পমেয়াদি ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে।

গত ৩০ জুন,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

পর্ষদ সভার তারিখ জানালো বিচ হ্যাচারি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারি লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৫ নভেম্বর বিকাল ০৪ টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

সভা শেষে লভ্যাংশের ঘোষণা আসতে পারে।

ন্যাশনাল লাইফের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৫ নভেম্বর বিকাল ০৩ টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচিত সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

লোকসান বেড়েছে বিডি সার্ভিসেসের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ০৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। গতবছর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ০৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২৫ টাকা ২০ পয়সা।

বিডি থাই ফুডের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেবে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০২ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১৭ পয়সা।

ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ০৯ ডিসেম্বর।

সোনালী আঁশের মুনাফা ও সম্পদমূল্যে ব্যাখ্যাহীন বড় বিপর্যয়

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী আঁশ লিমিটেড ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে আয় করেছে ১৫ টাকা ৬৪ পয়সা। একইসময়ে সম্পদ মূল্য ছিল ১১৮ টাকা ১৪ পয়সা। তবে পুরো বছরে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩ টাকা ২৩ পয়সা। কারণ বছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল থেকে জুন) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১২ টাকা ৪১ পয়সা। একইসময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৮০ পয়সায়। অর্থাৎ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শেষ তিন মাসে শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি সম্পদ হারিয়েছে ৫৬ টাকা ৩৪ পয়সা।

তবে তিন মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় এবং সম্পদ মূল্যে কেন এত বড় বিপর্যয়, বিনিয়োগকারীদের তার কোন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টরা প্রায়ই বিনিয়োগকারীদের না জেনে-শুনে বিনিয়োগ করাকে দুষে থাকেন। কিন্তু কোন বিনিয়োগকারী সোনালী আঁশের নয় মাসের আয় দেখে বিনিয়োগ করে তাহলে ওই বিনিয়োগকারী অপরাধটা কোথায়? এদিকে প্রতি মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের তথ্য হালনাগাদ করার নিয়ম থাকলেও গত ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখের পর সোনালী আঁশের কোন ধরনের হালনাগাদকৃত তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি।

বিএসইসি যেখানে বাজার সংস্কার করছে, সেখানে বাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি তাদের নাকের ডগার উপর দিয়ে এতগুলো অনিয়ম কীভাবে করে যাচ্ছে- এর সদুত্তর বহু বিনিয়োগকারীর জানা নেই। কোম্পানি কর্তৃপক্ষের অনিয়ম দুর্নীতি দেখে মনে হচ্ছে যেন তারা সকল নিয়ম কানুনের বাহিরে। তাদেরকে ধরা বা ছোঁয়ার ক্ষমতা বিএসইসি কর্তৃপক্ষের নেই অথবা কোন অজানা কারণে বিএসইসি কমিশন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

বিএসইসি কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ, যেহেতু আপনারা বাজার সংস্কার করছেন দয়া করে আপনাদের সংস্কারের মধ্যে কোম্পানিগুলোর এসব অনিয়ম এবং দুর্নীতিকেও সংস্কারের আওতায় আনা উচিত। বিএসইসি কর্তৃপক্ষ এসব অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে না গেলে আগামীতে এ ধরনের কোম্পানিগুলোর মালিকপক্ষরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতি আরো বেশি অত্যাচার-নিপীড়ন জুলুম করবে।

লেখক: শাকিল মাহমুদ
বিনিয়োগকারী

 

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: