facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪

Walton

সপ্তাহের সবচেয়ে আলোচিত পুঁজিবাজারের পাঁচ খবর


১৬ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার, ১২:৫২  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


সপ্তাহের সবচেয়ে আলোচিত পুঁজিবাজারের পাঁচ খবর

পুঁজিবাজার চাঙ্গায় আইসিবিকে ৩ হাজার কোটি টাকা: অর্থ উপদেষ্টা

পুঁজিবাজার ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাংলাদেশ সরকার নানামুখী সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস পূর্তি উপলক্ষে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "বিগত শাসনামলের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আর্থিক, পুঁজিবাজার ও ব্যাংকিং সংকট মোকাবিলায় আমাদের সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।"

পুঁজিবাজারে নতুন উদ্যোগ

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধন লাভের ওপর কর হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে এই কর হার ছিল ৩০ শতাংশ।

এ ছাড়া, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আইসিবিকে ইতোমধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। বাজারে শৃঙ্খলা আনতে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে, যা সিকিউরিটিজ ট্রেডিংয়ের অস্থিরতা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে।

উন্নয়ন প্রকল্পে অগ্রাধিকার

উন্নয়ন প্রকল্প পর্যালোচনা প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, "এডিপির অধীনে এমন প্রকল্পগুলো একনেকে রাখা হচ্ছে, যেগুলো উচ্চ রিটার্ন নিশ্চিত করতে পারে। বাজেটে চাপ এড়াতে উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমরা আরও সচেতন।"

সরকারের ঋণ পরিশোধে কোনো উদ্বেগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, "আমরা ব্যয়ের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেট সংশোধন করা হবে।"

এই সংস্কার পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে বর্তমান সরকার সংকট মোকাবিলায় ইতিবাচক অগ্রগতি আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থ উপদেষ্টা।

সূচকে ঊর্ধ্বমুখিতা, কমেছে লেনদেন

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।


পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৩১৬ পয়েন্ট। এছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৯৬৬ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে সামান্য বেড়ে ১ হাজার ১৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।


ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১৩টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৮টির, কমেছে ২০৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির দর। এছাড়া লেনদেন হয়নি ২৯টির। গত সপ্তাহে সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, যমুনা ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি ও খান ব্রাদার্সের শেয়ার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ২ হাজার ২৭০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩ হাজার ২৯ কোটি টাকা।


খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৮ শতাংশ দখলে নিয়েছে ব্যাংক খাত। ৯ দশমিক ৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। এছাড়া ৮ দশমিক ৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। আর প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল সাধারণ বীমা, জীবন বীমা এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। এ তিন খাতে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৩, ৪ দশমিক ৪ ও ২ শতাংশ। অন্যদিকে আলোচ্য সপ্তাহে পাট, ভ্রমণ ও কাগজ খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এসব খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ১৬ দশমিক ৪, ৬ দশমিক ৪ ও ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ১৪ হাজার ৮৮০ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৪ হাজার ৮৫২ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৯ হাজার ৩৩ পয়েন্ট।

সিএসইতে গত সপ্তাহে ৭০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৩৫ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ১৮২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৯টির বাজারদর।

ডিভিডেন্ড ও মুনাফায় নতুন রেকর্ড: রাষ্ট্রায়ত্ত তিন তেল কোম্পানির

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানির মধ্যে তিনটি ইতোমধ্যে ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে পদ্মা অয়েল ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম তাদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড এবং মুনাফার ঘোষণা দিয়ে নজর কেড়েছে।

পদ্মা অয়েল: স্থিতিশীল ডিভিডেন্ড ও মুনাফা বৃদ্ধির ধারায়

২০২৪ অর্থবছরে পদ্মা অয়েল ১৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, যা আগের বছরের সমান। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে হয়েছে ৪১ টাকা ৫৯ পয়সা, যা গত বছরের ৩৫ টাকা ৫৮ পয়সার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

**মেঘনা পেট্রোলিয়াম: ডিভিডেন্ডে এগিয়ে**
মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবার ১৭০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, যা গত বছরের ১৬০ শতাংশ থেকে বেশি। সমাপ্ত অর্থবছরে তাদের ইপিএস হয়েছে ৫০ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট: মিশ্র ডিভিডেন্ডের ধারায়

ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট ৯০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ৮০ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ স্টক। এ বছর তাদের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮২ পয়সায়, যা আগের বছরের ১৯ টাকা ৮১ পয়সার চেয়ে বেশি।

যমুনা অয়েল: রেকর্ডের পথে সম্ভাবনা

যমুনা অয়েল এখনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। তবে প্রান্তিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরও তাদের রেকর্ড মুনাফা ধরে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।

কোম্পানিগুলোর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম):


**পদ্মা অয়েল**: ১১ জানুয়ারি ২০২৪ (রেকর্ড ডেট: ৩ ডিসেম্বর)।
**মেঘনা পেট্রোলিয়াম**: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (রেকর্ড ডেট: ১৫ ডিসেম্বর)।
**ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট**: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (রেকর্ড ডেট: ৯ ডিসেম্বর)।

রাষ্ট্রায়ত্ত এসব কোম্পানির অসাধারণ পারফরম্যান্স বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ভূমিকা রাখছে।


স্কয়ার ফার্মার বিক্রি কমলেও মুনাফায় রেকর্ড

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও দেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যার প্রভাব পড়েছে দেশের শীর্ষ ওষুধ কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবসায়। ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির বিক্রি আগের বছরের তুলনায় ৬ কোটি টাকা কমেছে। তবে শেয়ারবাজার, ব্যাংক সুদ, ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়ের কারণে মুনাফায় উল্টো উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে।

বিক্রির হ্রাস: প্রথমবারের ধাক্কা

কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে স্কয়ার ফার্মার বিক্রি হয়েছে ১,৭৭৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১,৭৮১ কোটি টাকা। বিক্রিতে এ ৬ কোটি টাকার বা ০.৩৬ শতাংশ হ্রাস কোম্পানিটির জন্য একটি বিরল ঘটনা।


খরচ বেড়েছে: চাপ সামলাতে হিমশিম

উৎপাদন খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮৩ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৮৬৬ কোটি টাকা। বিপণন খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে হয়েছে ৩০৬ কোটি টাকা, যা গত বছর ছিল ২৪৮ কোটি। ফলে পরিচালন মুনাফা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩৫ কোটি টাকায়, যেখানে গত বছর ছিল ৬২৬ কোটি।

মুনাফায় উল্টো উল্লম্ফন

বিক্রি কমলেও স্কয়ার ফার্মা ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা করেছে ৬৮৪ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬০৬ কোটি টাকা।
এই মুনাফার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে ব্যাংক সুদ ও শেয়ারবাজার থেকে আয়কে উল্লেখ করেছেন কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংক ও শেয়ারবাজার থেকে আয়: ব্যাংকের সুদ ও লভ্যাংশ বাবদ আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬ কোটি টাকায়, যা গত বছর ছিল ১০৯ কোটি টাকা।
সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে আয়: এ বাবদ আয় বেড়ে হয়েছে ৫৭ কোটি টাকা, যা গত বছর ছিল ৩৬ কোটি।

মূলধনি মুনাফা: শেয়ার বিক্রি থেকে ৭২ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে, যা গত বছর ছিল মাত্র ৯ কোটি।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের মন্তব্য

স্কয়ার ফার্মার নির্বাহী পরিচালক (ফিন্যান্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "জুলাই–আগস্টের আন্দোলন ও বন্যার কারণে প্রথমবারের মতো বিক্রি কমেছে। তবে ব্যাংকের সুদ, সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়, এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কারণে আমাদের মুনাফা বেড়েছে।"

বন্যা ও আন্দোলনের কারণে সাময়িক বিপর্যয় সত্ত্বেও কোম্পানিটি বহুমুখী আয় উৎসের মাধ্যমে নিজেদের মুনাফা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, যা তাদের কার্যকর কৌশলেরই উদাহরণ।

শেয়ার কারসাজিতে টিটু গংদের বিপুল লাভ, বিএসইসি’র ২০ লাখ টাকা জরিমানা

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এম লুৎফুল গনি টিটু এবং তার সহযোগীদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।


**কারা পেলেন জরিমানা?**

জরিমানার আওতায় আছেন:

**শাহারা জামান** ও **মোঃ আসফাকুজ্জামান**: আড়াই লাখ টাকা করে।
**সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স**: ১০ লাখ টাকা।
**এম লুৎফুল গনি টিটু**, **লুৎফুন্নাহার বেগম**, **মোঃ মাহমুদুল হাসান**, **খায়রুজ্জামান হাসান বনজু** এবং **আকিকুন্নাহার**: প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে।

জরিমানার টাকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

**কারসাজির ধরন**

তদন্তে দেখা গেছে, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কেনাবেচার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা অবৈধভাবে লাভ করেছেন:

**শাহারা জামান**: ৫২ লাখ টাকা।
**মোঃ আসফাকুজ্জামান**: ১৬ লাখ টাকা।
**সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স**: ৬৮ লাখ টাকা।

শেয়ার কারসাজিতে পরিবারকেন্দ্রিক সংযোগও উঠে এসেছে। টিটুর মা, ভাই, বোন এবং শ্যালক সকলে এই চক্রে জড়িত ছিলেন।

শেয়ার মূল্য নিয়ে প্রশ্ন

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দাম ছিল ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা। কিন্তু ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি প্রায় ৮০% বেড়ে ৬০ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছায়, যা পরে আবার নেমে আসে।

বিএসইসি বলছে, এই মূল্য বৃদ্ধি কোনো সংবেদনশীল তথ্যের ভিত্তিতে হয়নি, বরং এটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

**শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।**

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: