১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার, ১০:৫০ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে সবল ব্যাংকগুলো দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার সহায়তা দিলেও সংকট কাটছে না। তারল্য সুবিধার নামে দেওয়া ৪ হাজার ১৬০ কোটি টাকার অধিকাংশই যাচ্ছে আমানত ফেরত দিতে। ফলে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে না পেরে ব্যাংকগুলো আরও নাজুক অবস্থায় চলে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া বেশিরভাগ ব্যাংক ক্লিনিক্যালি ডেথের পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিহীনতার ফলেই এই পরিস্থিতি। বর্তমান নীতি সহায়তা পরিস্থিতি সামাল দিলেও ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ছয়টি ব্যাংক হলো:
১. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
২. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
৩. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
৪. ইউনিয়ন ব্যাংক
৫. গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
৬. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক
এছাড়া আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের অবস্থা আরও সংকটময়। এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পরও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
অর্থনীতিবিদদের মতে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে আমানতকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়া ব্যাংক খাতের সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়।
এই মুহূর্তে সবল পাঁচটি ব্যাংক — সোনালী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক — দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা দিলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি টেকসই সমাধান নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।
ব্যাংক খাতের সংকট থেকে উত্তরণে নীতির শৃঙ্খলা ফেরানো এবং দুর্বল ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন জরুরি। অন্যথায় ব্যাংক খাতের এ সংকট পুরো অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।