২৩ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার, ০১:৩০ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
সাহাবিদের বিয়ের প্রথম ধাপ ছিল প্রস্তাব দেওয়া। পুরুষ সাহাবিরা সরাসরি পাত্রীপক্ষের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যেতেন। যেমন, আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গিয়ে তাঁর কন্যা ফাতেমাকে (রা.) বিয়ের প্রস্তাব দেন। সংকোচ থাকলেও রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে সাহস দেন, যা ইতিহাসে মুগ্ধতার অধ্যায় হয়ে রয়েছে।
নারী সাহাবিরাও নিজেদের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার ক্ষেত্রে ছিলেন স্বাধীন। খাদিজা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিয়ের প্রস্তাব দেন তাঁর বান্ধবী নাফিসার মাধ্যমে। এমনকি খাওলা বিনতে হাকিম (রা.) সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সাহাবিদের যুগে মেয়েদের মতামত ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হতো না। এমনকি বিয়ের পরও যদি পাত্রী জানাতেন যে তিনি অসম্মত ছিলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই বিয়ে বাতিল করতেন।
সাহাবিদের যুগে মোহরানার ধরন নির্ধারিত হতো পাত্রের সামর্থ্য এবং পাত্রীর মর্যাদা অনুযায়ী। কেউ মোহরানা হিসেবে মুখস্থ কোরআন শেখাতেন, কেউবা একটি বাগান দিতেন। রুমাইসা বিনতে মিলহান (রা.) শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন, তাঁর মোহরানা হবে পাত্রের ইসলাম গ্রহণ। আবু তালহা (রা.) সেই শর্ত মেনে ইসলাম গ্রহণ করেন।
প্রথমদিকে মোহরানা ছিল সাধারণ, যেমন আলী (রা.) এবং ফাতেমা (রা.)-র বিয়েতে মোহরানা ছিল ৪৬০ দিরহাম। পরে, মুসলিমদের আর্থিক সমৃদ্ধি বাড়লে মোহরানার পরিমাণও বেড়ে যায়। ধনী সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) তাঁর স্ত্রীকে মোহরানা হিসেবে ৩০ হাজার দিরহাম দেন।
সাহাবিদের বিয়ের সহজ ও সাদামাটা আয়োজন আজকের যুগেও এক শিক্ষণীয় উদাহরণ। স্বচ্ছতা, সরলতা আর পারস্পরিক সম্মানের এই দৃষ্টান্ত নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।