৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার, ১০:০৬ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
সিএনএস-এর তথ্য অনুযায়ী, কার্টার ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট। তিনি এক মেয়াদে (১৯৭৭-১৯৮১) যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিয়েছেন। জীবনের শেষ সময়ে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে, তিনি জর্জিয়ার নিজ শহর প্লেইন্সে পারিবারিক সেবাযত্নে ছিলেন।
জিমি কার্টার যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর তিনি তার ১০০তম জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন, যা তাকে মার্কিন ইতিহাসে অনন্য করে তোলে। ২০০২ সালে মানবাধিকার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জর্জিয়ার প্লেইন্সে জন্মগ্রহণ করা কার্টার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মার্কিন নৌবাহিনীতে পারমাণবিক সাবমেরিন প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে ১৯৫৩ সালে তিনি পারিবারিক চিনাবাদাম চাষের ব্যবসা চালাতে নিজ শহরে ফিরে আসেন।
এরপর রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তিনি ১৯৬২ সালে জর্জিয়ার বিধানসভায় নির্বাচিত হন এবং দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জর্জিয়ার গভর্নর হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
১৯৭৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে জিমি কার্টার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করেন। ফোর্ড তখন ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পর রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগের পর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জিমি কার্টার বিশ্ব রাজনীতি এবং মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন, যা তাকে সর্বদাই স্মরণীয় করে রাখবে। তার মৃত্যুতে বিশ্ব হারালো এক নীতিবান নেতা ও মানবিক মূল্যবোধের মূর্ত প্রতীক।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।