সৌদি ও আমিরাতে ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অবস্থানরত প্রবাসীদের জন্য ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ইলিশ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞার পর নতুন উদ্যোগ

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় এতদিন ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫.৩০ লাখ টন। দেশের বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ানো এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে।

বাংলাদেশি প্রবাসীরা যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, এমনকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ও দেশের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন, তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সীমিত পরিসরে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।

সীমিত পরিসরে রপ্তানির পরিকল্পনা

ফরিদা আখতার বলেন, সারা বছর ইলিশ পাঠানো সম্ভব না হলেও আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীদের জন্য ইলিশ সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ৪৪ লাখ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ২২ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মরত রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে এই দুটি দেশে ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সুপারিশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। চলতি বছর আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রপ্তানি কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। সফল হলে ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশেও ইলিশ পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।