১১ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার, ০৬:০৬ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনায় এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিএনপি এবং এর মিত্র দলগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে আয়োজনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করবে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।”
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটি জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে মত প্রকাশ করেছে। কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ধাপে ধাপে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।”
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশন – সব স্তরের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি একীভূত আইনের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে তারা। কমিশন মনে করে, এ প্রক্রিয়া সফল হলে সেবা প্রদান ব্যবস্থা আরও কার্যকর হবে এবং জনগণ উপকৃত হবে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন এখনও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কোনো নির্দেশনা পায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি সংস্কারের কাজ চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করা জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল হতে পারে। অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, “সরকারের উচিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের আস্থায় নিয়ে অগ্রাধিকার ঠিক করা।”
সামগ্রিকভাবে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা জরুরি বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।