২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ শুক্রবার, ১০:২৩ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
সারা বছর গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ নিত্যপণ্যের দামে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রাও কঠিন হয়ে উঠেছে। পাত থেকে খাবারের পদ কমিয়ে দিন পার করতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। সুপারশপগুলো এমন অবস্থায় মিনি প্যাক শ্যাম্পুর আদলে "কম্বো প্যাকেজ" চালু করে গ্রাহক ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়েছে, যা সাধারণ মানুষের দুর্দশার বার্তা বহন করেছে।
২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে থাকলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ১০ শতাংশের ওপরে। জুলাই মাসে এটি ১৪.১০ শতাংশে পৌঁছে যায়, যা ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বন্যা, তাপপ্রবাহ, ও পণ্য সরবরাহের ঘাটতিতে পুরো বছর বাজার ছিল অস্থিতিশীল। ডিম ও মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০-২১০ টাকায় ওঠানামা করে। ডিমের দামও এক ডজনের জন্য ১৯০ টাকা পর্যন্ত ছুঁয়েছে।
বছরের বেশির ভাগ সময় আলু ও পেঁয়াজের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। মৌসুমে আলুর দাম ৮০ টাকা কেজিতে ওঠে এবং পেঁয়াজ ১৫০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে যায়। সবজির দামও নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। সেপ্টেম্বরে কাঁচা মরিচ ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয়, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।
সরকার কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানোসহ খোলাবাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে চাল, ডাল, তেল ও সবজি বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে এসব কার্যক্রম চাহিদার তুলনায় ছিল অপ্রতুল।
২০২৪ সালটি বাজার পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, ও মানুষের জীবিকা নির্বাহে চরম চ্যালেঞ্জের বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। নতুন বছরে বাজারে স্থিতিশীলতা এবং নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।