১২ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার, ০১:০৬ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
আন্তঃদেশীয় দুর্নীতির অভিযোগে আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার ও ব্যবসায়ী মীর রহমান রহমানী ও তার ছেলে আজমাল রহমানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া তাদের দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪৪টি কম্পানিকেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিষয়ক দপ্তর সোমবার রাতে ওই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিষয়ক দপ্তর বলেছে, মীর রহমান রহমানী ও তার ছেলে আজমাল রহমানীর পরিবারের সদস্যরা নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত।
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় আজমাল রহমানী সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে। মীর রহমান রহমানী ও তার ছেলে আজমাল রহমানী আফগানিস্তান ছাড়াও তিনি হাঙ্গেরি, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের নাগরিক। বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা অন্য দেশে নাগরিকত্ব নিয়েছেন।
এদিকে রহমানী পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কম্পানিগুলোর ২১টি জার্মানির, আটটি সাইপ্রাসের, ছয়টি সংযুক্ত আরব আমিরাতের।
এছাড়া দু’টি করে আফগানিস্তান ও অস্ট্রিয়ার এবং একটি করে নেদারল্যান্ড ও বুলগেরিয়ার কম্পানি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় সোমবার দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনের ওই সম্মেলন শুরুর প্রথম দিনই যুক্তরাষ্ট্র ওই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশও অংশ নিচ্ছে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ গত আগস্টে বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতি দমনের অন্যতম হাতিয়ার। তবে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিষেধাজ্ঞাকে ব্যবহার করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিষয়ক দপ্তর গতকাল দুই ব্যক্তি ও ৪৪ কম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মানবাধিকারের লঙ্ঘনের জবাবদিহিতাবিষয়ক গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইন প্রয়োগ করে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রয়োগ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিষয়ক দপ্তর বলেছে, আফগান নাগরিক মীর রহমান রহমানী ও তার ছেলে আজমাল রহমানী তাদের কম্পানিগুলোর মাধ্যমে দুর্নীতি করেছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়িত উদ্যোগের লাখ লাখ ডলারের অপব্যবহার হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের সন্ত্রাস ও আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান ই নেলসন বলেন, ব্যক্তিস্বার্থে ক্ষমতার অপব্যহার যারা করতে চায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিষয়ক দপ্তরের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির চক্র ভাঙাসহ দুর্নীতিবাজদের জবাবদিহিতার জন্য অর্থবিষয়ক দপ্তর তার হাতিয়ারগুলোর ব্যবজার অব্যহত রাখবে।
এদিকে রহমানী পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে। নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কেউ লেনদেন বা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে তারাও শাস্তির শিকার হতে পারেন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।