১৪ এপ্রিল ২০২৫ সোমবার, ০৯:৪০ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক তার বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে তোলা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এক ঘোষণায় রোববার (১৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানায় কোম্পানিটি।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারা আশা করছে, আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হলে ব্যবসার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৫১৮ কোটি টাকার অনাদায়ি ঋণ আদায়ে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের দুটি গুরুত্বপূর্ণ জমি নিলামে তোলা হয়েছে। গত ২০ মার্চ ইউসিবি এই নিলামের বিজ্ঞপ্তি দেয় এবং আগ্রহী ক্রেতাদের ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়। এই দুটি সম্পত্তি সাইফ পাওয়ারটেকের মালিকানাধীন এবং কোম্পানির মোট জমির ৫৭ শতাংশের বেশি অংশ জুড়ে বিস্তৃত।
এই নিলাম শুধু সাইফ পাওয়ারটেককে ঘিরেই নয়। একইসঙ্গে ইউসিবি আরও দুটি কোম্পানির সম্পত্তি নিলামে তুলেছে—ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও ম্যাক্সন পাওয়ার লিমিটেড। এই তিন কোম্পানির মালিকানা রয়েছে একই ব্যক্তির, তরফদার মো. রুহুল আমিনের হাতে। তিনি সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাকি দুই কোম্পানির চেয়ারম্যান। তিন প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত অনাদায়ি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এই খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের দুশ্চিন্তা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজ এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফ পাওয়ারটেক তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানায়, তারা ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে এবং শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী।
সাইফ পাওয়ারটেক ২০১৪ সালে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ টাকা দামে শেয়ার ইস্যু করলেও বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম নেমে এসেছে মাত্র ১১ টাকা ৪০ পয়সায়। রোববার লেনদেনে শেয়ারের দাম কমেছে ২০ পয়সা বা প্রায় ২ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ বছরে ২৬.৫ কোটি টাকা মুনাফা করলেও মাত্র ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এবং তা পূরণ করতে না পারায় জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে।
মূলত চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার পাশাপাশি জেনারেটর ও ব্যাটারির ব্যবসায় যুক্ত থাকা সাইফ পাওয়ারটেক অতীতে রাজনৈতিক সংযোগের সুবাদে বিশেষ সুবিধা পেয়ে আসছিল বলে জানা যায়। তবে বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। এখন দেখার বিষয়, কোম্পানিটি কীভাবে এই সংকট সামাল দেয় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা কতটা ফিরিয়ে আনতে পারে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।