ঢাকা   রোববার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

৮ ডিগ্রির ঘরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা, কমতে পারে আরো

গ্রামবাংলা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১০:০৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

৮ ডিগ্রির ঘরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা, কমতে পারে আরো

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রির ঘরে। কয়েকদিন ধরেই এই জেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ছয়টার সময়েও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ। তিনি জানান, রোববার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাশেল শাহ জানান, সামনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। জানুয়ারি মাসজুড়ে এই এলাকায় একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হওয়ায় প্রতিবছর উত্তরের এই জেলায় তীব্র হয় শীত। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। শীতের মৌসুম শুরুর আগে থেকেই ঠান্ডায় কাঁপছে পঞ্চগড়।

অনেকদিন ধরেই হিমেল হাওয়ার কারণে সন্ধ্যার আগে থেকেই প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ছে। রাত শুরু হতে না হতেই কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো টপটপ করে কুয়াশা ঝরছে। মাঝদুপুরে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হওয়ার দাপটে ঠান্ডা তেমনটা কমছে না। ব্যস্ততম সড়কগুলোতে জনসাধারণের চলাচল কমে গেছে। মহাসড়কে চলাচল করা গাড়িগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে ধীরে চলছে। ঘনকুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়িগুলো হেডলাইট দিয়ে চলছে। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে মাঠেঘাটে কাজ করতে গেলেও বেশি সময় থাকতে পারছেন না।

ভ্যান চালক আজবাহার আলী জানান, ‘কনকনে শীতে বেশিক্ষণ ভ্যান নিয়ে রাস্তায় থাকা যাচ্ছে না। আর যাত্রীও মিলছে কম। সে কারণে সকাল সকাল রাস্তায় না এসে সকাল ১০টার পর আসতে হচ্ছে। এতে রোজগার একেবারেই কমে গেছে।’

ব্যাটারিচালিত অটোচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘনকুয়াশা আর হিম বাতাসের কারণে ভাড়া তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। কুয়াশার কারণে ধীরগতিতে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বেশি হচ্ছে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

শেয়ার বিজনেস24.কম